ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ধর্মঘটে নারায়ণগঞ্জের পেট্রোল পাম্প-ডিপো: সরবরাহ বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
ধর্মঘটে নারায়ণগঞ্জের পেট্রোল পাম্প-ডিপো: সরবরাহ বন্ধ

নারায়ণগঞ্জ: জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলাকালে নারায়ণগঞ্জের জালানি ও পেট্রোলপাম্প ও তেলের ডিপোতে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
 
রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় অবস্থিত মেঘনা ও যমুনা ডিপো এলাকায় বিক্ষোভ করেন।



ধর্মঘটের কারণে ডিপোগুলোতে তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিমানের জ্বালানি তেল সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা এবং ফতুল্লায় অবস্থিত যমুনা ও মেঘনা জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে কোনো জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ করেনি ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকরা।
 
জেলার সবগুলো পাম্প বন্ধ থাকায় লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে অকটেন ও ডিজেল চালিত যানবাহগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে।

সাঁটানো হয়েছে পাম্প বন্ধের নোটিশ। অনেক পাম্পের প্রবেশ পথে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
 
ডিজেল বিক্রির কমিশন ৩ দশমিক ৪০ এবং পেট্রোল ও অকটেনের কমিশন ৪ শতাংশ করা, ট্যাঙ্কলরির ভাড়া বৃদ্ধি, চালকদের বিশেষ বিবেচনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, চালকদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ৫ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা চালু, পেট্রোল পাম্প স্থাপনে বিপিসির নীতিমালা সংশোধন, চট্টগ্রাম-ফতুল্লা-দৌলতপুর-চাঁদপুর ও সিলেটে টার্মিনাল নির্মাণ এবং ঢাকা গোদনাইলে পদ্মা ও মেঘনার টার্মিনাল সংস্কার, জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ, বিএসটিআইয়ের টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক হারে নির্ধারণ এবং শ্রমিক নেতা মীর মোকসেদ ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার- এ ৯ দফা দাবিতে রোববার থেকে সারা দেশে ট্যাঙ্কলরি ও পেট্রোলপাম্পে ধর্মঘট আহ্বান করে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
 
পরিষদের গোদনাইল পদ্মা শাখার সভাপতি আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী জানান, ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
 
গোদনাইলে অবস্থিত পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ইনচার্জ মো. আউয়াল জানান, বিমানের যে জেট ফুয়েল-১ মজুদ রয়েছে, তা দিয়ে তাদের আরও দুই-তিন দিন চলে যাবে। সহসা ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সংকট হতে পারে। তবে বিকল্প উপায়ে বিমানের জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানান তিনি।
 
ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়:  ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
তানভীর হোসেন/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।