ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রস্তাব সিপিডির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রস্তাব সিপিডির সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র ফেজ আউট বা বন্ধের প্রস্তাব করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে সিপিডির পক্ষ থেকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি রূপান্তর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবর্তনের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ একটি নাগরিক ইশতেহার শীর্ষক সভায় এই প্রস্তাব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড.খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

জ্বালানি রূপান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, নির্বাচনী ও নাগরিক সমাজের ইশতেহার শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ড.খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নির্বাচনে জ্বালানি গুরুত্ব আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় দলগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি আমদানিতে মনোযোগী। তবে রিনিউএবেল জ্বালানিতে তাদের মনোযোগ কম।

তিনি বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ জেনারেশন বৃদ্ধি, ট্রান্সমিশন লাইন বৃদ্ধি ও পিপির মাধ্যমে জ্বালানি প্রকল্পের কথা বলছে। এ সময় তিনি জ্বালানি রূপান্তরে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সিপিডি মনে করে প্রতিটি সেক্টরের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে বিদ্যুৎ খাতের ওপর। তাই অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।

সিপিডির স্বল্প মেয়াদি (আগামী জুন) মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি চাহিদা পূর্বাভাস সংশোধন করা, জ্বালানির মূল্য পরিশোধ স্থানীয় মুদ্রায় করা, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করা, সোলার সামগ্রীতে শুল্ক কমানো ও বায়োগ্যাস ব্যবহার করা।

২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনো বিদ্যমান ফেজ আউট তালিকায় নেই, সেগুলো দেরি না করে ফেজ আউট করা।

এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্ত করা ও অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাসহ সমন্বিত জ্বালানি নীতি গ্রহণ করা।  

এছাড়াও প্রকৌশলীদের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে হবে, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইনডিমিনিটি অ্যাক্ট বাতিল করার কথাও বলা হয়।  

সিপিডির দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির জন্য আলাদা সেল করা, স্রেডা ও বিইআরসিকে শক্তিশালী করাসহ একাধিক প্রস্তাব।  

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।