ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

৩৫ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৬১ কোটি টাকা জরিমানা আদায়

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১২
৩৫ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৬১ কোটি টাকা জরিমানা আদায়

ঢাকা: রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৬১ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যথা সময়ে উৎপাদনে আসতে না পারায় জরিমানা ও ওভার ড্রোন হিসেবে উল্লেখিত অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে।



এরমধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (আইপিপি) ও স্মল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (এসআইপি) ৯টি, বাকি ২৬টি হচ্ছে রেন্টাল/কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট।
 
সূত্র জানায়, জরিমানা প্রদানের শীর্ষে রয়েছে ওয়েস্টমন্ট ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (বাঘাবাড়ি)। এই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

এর পরেই রয়েছে অটবির মালিকানাধীন কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (কিউপিএস)। কিউপিএস এর ভেড়ামারা ১১০ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীতে ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ও নোয়াপাড়া ১০৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

জরিমানা প্রদানের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এনার্জি প্রিমা লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটির ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ৬২ কোটি টাকা।

এরপরে রয়েছে দেশ এনার্জি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে গত মে পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া জরিমানা দিয়েছে রহিম আফরোজ পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানাধীন ঠাকুরগাঁও রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রুরাল পাওয়ার ময়মনসিংহ ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ভেঞ্চার রিসোর্স লিমিটেডের ১২ কোটি ২১ লাখ, প্রিসিশন এনার্জি লি. ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, এনার্জি পাওয়ার ৩ কোটি ১৯ লাখ, এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনালের আশুগঞ্জ ৮০ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল ১০০ মেগাওয়াট বিবিয়ানা ৭০ মেগাওয়াটসহ ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীতে ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

ডরিম পাওয়ার ৩৮ লাখ টাকা, রিজেন্ট পাওয়ার ১ কোটি, সামিট পাওয়ারের পুর্বাচল ( কুমিল্লা)  ও নারায়ণগঞ্জের ৪ কোটি ৪৪ লাখ, শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি ৩ কোটি ২৫ লাখ, জিবিবি পাওয়ার কোম্পানি ৫ কোটি ৪৩ লাখ, দেশ ক্যামব্রিজ কুমারগাঁও ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

হাইপেরিয়ান কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ৫ কোটি ৪৬ লাখ, আইইএল কনসোটিয়াম ১১ কোটি ৬৩ লাখ, ডিপিএ পাওয়ার জেনারেশন ২ কোটি ৬ লাখ, খুলনা পাওয়ার লি. ১৯ কোটি ৮৪ লাখ, একরন ইনফ্রাকচার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ৫ কোটি ২০ লাখ, সিনহা পাওয়ার ২ কোটি ৭৬ লাখ, নর্দান পাওয়ার ২ কোটি ৭৬ লাখ, খানজাহান আলী পাওয়ার ২ কোটি ২২ লাখ, ইউনাইটেড পাওয়ার ৯ কোটি ৭৪ লাখ ও ম্যাক্স পাওয়ার ৫ কোটি ৩০ লাখ ও ডাচবাংলা পাওয়ার।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সদস্য (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স ) আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নিয়মের ক্ষেত্রে কোনোরকম গাফলতি করা হয়নি। চুক্তি অনুযায়ি জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রেন্টাল কুইক রেন্টাল নিয়ে কথা বললে তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। আমি এ বিষয়ে কথা বলে দেশদ্রোহী হতে চাই না। তবে এটুকু বলব, রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন দিল্লীকা লাড্ডুর মতো। সরকার, জনগণ এবং ঠিকাদার সবাই আফসোস করছে। এরই মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেউলিয়ার পথে রয়েছে অটবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১২
ইএস/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।