ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে গেল মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র 

সুনীল বড়ুয়া,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩
পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে গেল মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র 

কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গড়ে তোলা কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াট  ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে পরীক্ষামূলকভাবে  উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোড হয়েছে। একটানা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার পর আগামী কাল (রোববার) দুপুর ১২ টার দিকে বন্ধ করে পুনরায় চালু করা হবে।  

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটির নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট, আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পুরোদমে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্বপরিকল্পনা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার  জানান, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই ইউনিটে পুরো সক্ষমতা অর্জন হলে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে মাতারবাড়ীর এক হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহৎ এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা দিচ্ছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকারের। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।  

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার  বলেন, প্রথম দিকে জ্বালানি তেল দিয়ে উৎপাদন চালানো হবে। চার-পাঁচ দিন পর কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

কোল পাওয়ার সূত্র জানায়, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএসআই এই প্রকল্পে নির্মাণকাজে এক হাজার ১৫০ জন বিদেশি নাগরিকসহ আট হাজার মানুষ প্রতিদিন কাজ করছেন।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম মাতারবাড়ীর এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প। এটি পুরোদমে চালু হলে দেশে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং আরো ৬৫ হাজার টন কয়লা আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩
এসবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।