ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এখন প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফল পাল্টানো যায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এখন প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফল পাল্টানো যায়

ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের এখন আর সহিংস পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন হয় না, প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফলাফল পাল্টে ফেলা যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারকে যদি বিদায় করতে না পারি, তাহলে এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে, এ সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য, তরুণ নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বর্তমানে প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে ভোট চুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, এ ৩০ ডিসেম্বর ভোট না করেই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। আজকের এ দিনকে আমরা ভোটাধিকার হরণ দিবস হিসেবে পালন করি। আমাদের ভোটের অধিকার আমরা ফেরত পেতে চাই। আমাদের পত্রিকায় লেখার অধিকার আমরা ফেরত পেতে চাই। সাংবাদিক ভাইয়েরা এখানে আছেন, তারা সব কিছু লিখতে পারবেন না। কারণ তাদের ওপর দেওয়া আছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। কিছু বললেই মামলা দিয়ে সাংবাদিককে জেলে দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়া দেশের ও জনগণের জন্য গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন সংগ্রাম করছেন। মিথ্যা মামলায় আটক হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই। তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার দাবি জানাই, যোগ করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশের মানুষের দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয়, সরকারকে এর দায় নিতে হবে।

সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও জেলা থেকে খণ্ডখণ্ড মিছিল সহকারে দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন। দুপুরের পর পাবলিক ক্লাব মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।  

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক ছাত্রনেতা ও নির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি সাঈদ সোহরাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি জামাল উদ্দিন খান মিলন, আহ্বায়ক পঞ্চগড় জেলা বিএনপি জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পৌর বিএনপি সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আব্দুল হালিম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস, ছাত্রদলের সভাপতি কায়েসসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।