ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এখনই পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের  এখনই পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখনই পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি বলেন, দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী নাগরিকরা মনে করেন, নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

নির্বাচন কমিশন অযোগ্য, ব্যর্থ। তাহলে তাদেরতো দায়িত্বে থাকা উচিত নয়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তাদের পদত্যাগ করতে দেরি হওয়াটা প্রমাণ করে, তাদের আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই।
আমি আওয়ামী লীগকে বলব, তারা বরং জনগণের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করুক। তারা এখন জনগণকে বাদ দেওয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।  

পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে দুপুরের মধ্যে বেশ কয়েকটি পৌরসভা নির্বাচনের খবর জানতে পেরেছি, কেন্দ্রগুলো দখল হয়েছে। বিশেষ করে পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।  

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আজ তো ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। কিছু খবর পেয়েছি যে কেন্দ্র দখল হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না।

ইভিএম সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন দেশের জন্য উপযোগী ব্যবস্থা নয়। ইভিএম একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনেও আমরা বলেছিলাম উদ্দেশ্য কাজ করছে; সেই উদ্দেশ্যটা হচ্ছে- পুরোপুরি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা করা। কারণ অন্যান্য যেসব দেশে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর রিসিভ কপি দেওয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সেটি নেই। ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু হলো কি, হলো না, এ কথা জানার কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ একজন ভোটার যেখানে ভোট দিতে চান, সেখানে ভোট পড়লো কিনা সেটা জানার কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার ভোটের জালিয়াতি কারচুপি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়ে গেছে।
জনগণ কী চায়, কী চায় না, সেটা প্রমাণ হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, যোগ করেন তিনি।

এসময় ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।