ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বুকের রক্ত ঢাললেই গণতন্ত্র আসবে, বিএনপি কর্মীদের টুকু 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
বুকের রক্ত ঢাললেই গণতন্ত্র আসবে, বিএনপি কর্মীদের টুকু 

ঢাকা: বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, হলের মধ্যে বসে থাকলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে, তারেক রহমানকে ফেরত আনতে হলে প্রথমে গণতন্ত্র প্রয়োজন। একমাত্র বুকের তাজা রক্ত ঢালতে পারলেই গণতন্ত্র আসবে, না হলে আসবে না।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির একাংশের জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, গত ১০ বছর বিএনপির ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা কেবল হিটলারের সঙ্গেই তুলনা করা যায়।

কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা তার চেয়েও খারাপ। আমরা এখন জামিনে আছি, কিন্তু যেকোনো সময় ধরে নিয়ে যেতে পারে। সেই অবস্থায় বিএনপি এখনও দল হিসেবে টিকে আছে।  

‘বিএনপির নেতাকর্মীরা সুযোগ পেলে যে মৌমাছির মতো বেরিয়ে পড়ে এটাই হলো বিএনপির বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ’

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ষাটের দশকে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। ওবায়দুল কাদের কী ছিলেন- তা আমরা জানি। তিনি সারাক্ষণ বলেন, বিএনপি নাই, বিএনপি নাই, বিএনপি ১০ পার্সেন্ট।  

‘আমার প্রশ্ন- বিএনপি যদি নাই থাকে তাহলে বিএনপির জন্য যে এনার্জি ক্ষয় করেন, এটা কেন? অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এলাকায় গিয়ে গাড়ির গ্লাস খুলতে পারেন না। নিজেদের পেছনে সময় ব্যয় করুন। খামাখা এই বিএনপির পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ কী?’

লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যদি ভারত থেকে ২ কোটি আসে তাহলে কোথায় জায়গা দেবেন? উনারা (সরকার) বলছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন, আসুক, আমরা নিয়ে নেবো। অলরেডি আসা শুরু করেছে।  

‘যশোরের বর্ডার দিয়ে চার হাজার পুশ ইন করেছে। আসামে ১৪ লাখ বাদ দিয়েছে। এরা কোথায় যাবে? বাংলাদেশে আসবে। ’

তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জি এই আইনের প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমেছেন। আর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা কী করছেন? কথা বলার সাহস নাই। কারণ ক্ষমতায় তো টিকে আছে, ওই ভারতের দাসত্ব করেই। ’  

এলডিপির একাংশের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে দলটির জাতীয় কাউন্সিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপার একাংশের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলডিপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম।  
 

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।