ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারত সরকারের ‘সংশয় প্রকাশ’ গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
ভারত সরকারের ‘সংশয় প্রকাশ’ গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী 

ঢাকা: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

দেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।

অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। এবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে? হয়নি। এখানে বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পাহারা দিয়েছেন। এমনকি আমাদের দেশের মাওলানা যারা হুজুর তারা পর্যন্ত পূজা মণ্ডপ পাহারা দিয়েছেন। এ দেশে হিন্দু-মুসলমান যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে হাজার বছর ধরে। কিন্তু খুব চক্রান্ত আমরা দেখি। এক শেখ হাসিনা এবং তাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কি করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা নেই এ কথাটি বলা যায়।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে দুপুর আড়াইটার সময় একটি পূজামণ্ডপ থেকে মুকুট কে জানি চুরি করেছে। এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরও যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন কিন্তু কেন? এটাতো বড় প্রশ্ন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানাবে যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে কোনো পূজা মণ্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি ভারত সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতির নির্ধারকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনার পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা ওটাও আরেকটি বাংলা যেটা ভারতের মধ্যে সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা হয়েছে, মুকুট চুরি! কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোনো কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তর তো একটা বিবৃতি দিল না। আপনাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা আপনাদের পদতলে রাখতে চান। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন। সেইটা হাতছাড়া হয়ে গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর, ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তিনি বলেছেন আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি যে এত শিশু-কিশোর বাচ্চাদের হত্যা করলেন তারপরও তার মধ্যে কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এ ধরনের একজন ঘাতক নারীকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানের ন্যায় বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনও বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেট করে যাচ্ছেন। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

মন্থর গতিতে চলতে থাকা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।