ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে: সেলিমা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
আ. লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে: সেলিমা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান বলেছেন, তারা পোশাকশিল্পসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

সেলিমা রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। ৫ আগস্টের স্বাধীনতা কোনো একনায়কত্ব চায় না। বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখায়। কোনো বৈষম্য থাকবে না। উচ্ছৃঙ্খলতা ও চাঁদাবাজি এখনো চলছে। সে বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সতর্ক থাকবেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।

তিনি বলেন, গত আন্দোলনে আমাদের মা-বোন-সন্তানরা শহীদ হয়েছেন। আমার স্বাধীন হয়েছি ঠিকই। শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। তবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন হয়নি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন।  

সেলিমা রহমান বলেন, যেদিন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব সেদিন আমাদের সুদিন হবে। আমাদের শহীদরা সার্থক হবে। বাংলাদেশের জন্য আমাদের ত্যাগ কাজে আসবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিগত আন্দোলনে ছাত্র-জনতা সবার অবদান ছিল। আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে। বাধা উপেক্ষা করে মানুষ সমাবেশ সফল করেছে। তারা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশে অংশ নিতে ছুটে আসেন। অথচ সমাবেশ যাতে সফল না হয়, সরকারের লোকেরা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল। মূলত তারা ভয় পেয়ে এসব করেছিল। যেমনটি করেছিল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে।  

সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সিনিয়র অনেক নেতাকে তারা কারাবন্দি করেছিল। গত আন্দোলনে সবার অংশীদারত্ব আছে। সুতরাং দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের গর্ব উল্লেখ করে সেলিমা বলেন, তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। আজকে পুলিশ কাজ করছে না। ডিবির সাবেক প্রধান হারুন আমেরিকায় বসে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেয়! তাকে কে পাচার করেছে? আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তারা পোশাকশিল্পসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র, সুশাসন ও ভোটাধিকার। আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি। কত যে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তার সঠিক হিসাব নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের নেতা মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার ও সঞ্চালনা করেন আবুল বাশার আহমেদ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।