ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অন্য রাষ্ট্রের তিলকওয়ালী মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ছিল হাসিনার সাধনা: মামুনুল হক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
অন্য রাষ্ট্রের তিলকওয়ালী মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ছিল হাসিনার সাধনা: মামুনুল হক

বগুড়া: আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হওয়া উচিত, কারণ তারা মানসিক প্রতিবন্ধী সাইকো রোগী শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষের কাঁধের ওপর বসিয়ে রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।  

তিনি বলেন, মানসিক বিকারগ্রস্থ শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য।

তার চেষ্টা-সাধনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, অন্য একটি রাষ্ট্রের তিলকওয়ালী মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ছিল তার সাধনা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে এখন ইসলামের জোয়ার বইছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে, ইসলামের বাংলাদেশ এবং খেলাফতের বাংলাদেশ। ধর্ম, বর্ণ, ভিন্ন মত সবার জন্য খেলাফত। এই খেলাফতের মাধ্যমে সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্ম পালনে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ভোগ করবেন। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এভাবে সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আরেকটা রাজনীতি ছিল, রাতের অন্ধকারে সংখ্যালঘুদের ওপর কাল নাগিনী হয়ে ছোবল মারা আর দিনের বেলায় ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসা। এভাবে নাটক করে তারা দেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারখানায় পরিণত করেছিল। এখন আর নাটকের কলা ও কুশীলবরা নেই। এজন্য সংখ্যালঘুরা এখন নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে আছেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বগুড়া জেলার সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক। এতে বক্তব্য দেন- মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুফতি মনোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফজলুল করিম, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ, মাওলানা মুফতি শফী কাসেমী জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শফিকুর রহমানসহ অনেকে। সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
কেইউএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।