ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডা. মুরাদের নামে মানহানি ও লাশ গুমের দুই মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
ডা. মুরাদের নামে মানহানি ও লাশ গুমের দুই মামলা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান (ফাইল ছবি)

জামালপুর: সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে লাশ গুম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ তার পরিবারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কন্টেন্ট নির্মাতা মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়।

মানহানির মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ‘পানসিয়ানা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এ ধরনের মন্তব্য করায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মানহানি মামলাটির বাদী বিএনপির কর্মী রুমেল সরকার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দী চেচিয়াবাঁধা এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। এছাড়া এই মামলায় মহি উদ্দিন হেলাল নামে ওই ইউটিউবের উপস্থাপকে আসামি করা হয়েছে। উপস্থাপক মহি উদ্দিন হেলাল চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে।

অপরদিকে, একই দিনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মাসুদ নামে এক ছাত্রদল নেতাকে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা মাসুদের বড় ভাই পোগলদিঘা ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী এই মামলা করেন। বাদী মাজহারুল ইসলাম একই উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে জামালপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা মাসুদ ও আইয়ুব আলীকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়। পরে চেচিয়াবাঁধা এলাকায় যমুনা নদীর শাখা নদীতে হত্যার উদ্দেশে মাসুদকে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে মাসুদকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মামলায় ডা. মুরাদ হাসানসহ নয়জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ীর কান্দারপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে নান্নু মিয়া (৪২), মুসলিম উদ্দিনের ছেলে আলী কাইঞ্চা (৪২), জয়ান মণ্ডলের ছেলে লিমন (৩৫), মৃত হবিবর মণ্ডলের ছেলে খোকন (৪০), রব্বানী (৩৬), জমির উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন টুটুল (৩২), আবুল কাশেমের ছেলে রাজু (৩৫) ও আব্দুল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫)।

মামলা দুটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, মুরাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরিষাবাড়ী থানার পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।