ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আমরাও অবজারভার টিম পাঠাবো, দেখি কেমন নির্বাচন হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
‘আমরাও অবজারভার টিম পাঠাবো, দেখি কেমন নির্বাচন হয়’

ঢাকা: নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ বিদেশে অবজারভার টিম পাঠাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরাও অবজারভার টিম পাঠাব, দেখি কেমন নির্বাচন হয়।

বৃহস্পতিবার (মে ২) গণভবনে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরও অনেক দেশেই তো নির্বাচন হচ্ছে, আমরা দেখব। আমরা অবজারভার টিমও পাঠাব, দেখি কেমন নির্বাচন হয়। সেখানকার মানুষ কীরকম ভোট দেয় আমরা দেখব। ’

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ করতে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা হচ্ছে, ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়াটাকে আরও গণমুখী করা, আরও স্বচ্ছ করা। এই প্রথম আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল ছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর। সেখান থেকেও মুক্ত করে তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি, বাজেটে আলাদা বাজেট দিয়ে দিচ্ছি। ’

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ কেন ভোটে যাবে না! ভোট দেওয়া তো তার অধিকার। তার এলাকায় সে কাকে চায়, তাকে সে ভোট দেবে। তাকে ভোটের অধিকারে হস্তক্ষেপ কেন করা? এখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। এক সময় দেখা গেল, সবাই বর্জন করে। বর্জন করে কেন? কারণ, আসলে নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পার্লামেন্ট ইলেকশন করতে হলে আপনাকে তো পাবলিকের কাছে দেখাতে হবে যে, আপনার পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবে বা নেতা কে হবে। একটা নেতা তো দেখাতে হবে। আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো আপনাকে একটা ছুতো খুঁজতে হয়। হ্যাঁ, ইলেকশন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা তো সেটাই। আমাদের দেশে তো ওইটাই হচ্ছে এখন। একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি পাবলিকের কাছে দেখান, পাবলিক তো ওটা নেবে না। পলাতক আসামি, তাকে যদি দেখান, পাবলিক তো নেবে না। রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। ’

সরকার প্রধান জানান, তার লক্ষ্য একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। সেখানে থেকে যারা উঠে আসবে, আসবে। এটাই হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে, সেই আসবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে, আওয়ামী লীগ এসেছে। ঠিক সেইভাবে, যাকে মানুষ চাবে সেই আসবে। সেটাই তিনি চাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
এমইউএম/এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।