ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের ৪ কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের ৪ কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

লক্ষ্মীপুর: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে  মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়ক অবরোধ করেন।

 

বিক্ষুব্ধরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ঘটনার পেছনে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।  

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।  
এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাবির আহমেদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু প্রমুখ।  

এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার যৈদের পুকুরপাড়ে ছাত্রলীগ কর্মী এম সজীব, সাইফুল পাটওয়ারী, রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর হামলা হয়। এ সময় তাদের ওপর গুলি করা হয় বলে অভিযোগ দলীয় নেতাকর্মীর।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় সজীব, সাইফুল ও রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর আহত জয়কে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, কাজী বাবলু ও তার অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছেন। কেউ তার কথা না শুনলে মারধর করার পাশাপাশি মামলা দেওয়া হয়। এভাবে সে একক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।  

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, কাজী বাবলু ও তার লোকজন ছাড়া এতবড় ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কেউ ঘটাতে পারেন না। যারা আহত হয়েছেন, তারাই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন বাবলুর লোকজন হামলা চালিয়েছেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাবির আহমেদ বলেন, কাজী বাবলু সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তিনি একসময় অস্ত্রসহ ডাকাতদের সঙ্গে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সে মামলা এখনো বিচারাধীন। তার কারণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে হয়রানির শিকার।  
 
এসব বিষয়ে জানতে শনিবার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি। তবে তিনি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার কোনো সমর্থক জড়িত নন। মাসুদের গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, গভীর রাতে হামলা-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।