ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফরিদপুর-২ আসন

স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনের পক্ষে একাট্টা সালথার ভোটাররা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনের পক্ষে একাট্টা সালথার ভোটাররা

ফরিদপুর: ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে একাট্টা হয়েছেন সালথা উপজেলার বেশির ভাগ ভোটার। আসন্ন নির্বাচনে জামাল হোসেনকে বিজয়ী করতে কাজ করছেন তারা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সালথার বেশির ভাগ বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানরা জামাল হোসেন মিয়াকে সমর্থন দিতে তার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন।

এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগ কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার সঙ্গে যোগ দেন। ফলে সালথা উপজেলায় জামাল হোসেনের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  

এর আগে জামাল হোসেন মিয়ার সঙ্গে যোগ দেন সালথা উপজেলা সাবেক দুই চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও ওহিদ মাতুব্বর। তাছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতারা রয়েছেন তার পক্ষে।  

আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগের যোগদান উপলক্ষে বিশাল এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।  

জামাল হোসেন মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ফরিদপুর-২ আসন ছিল একটি চক্রের কাছে জিম্মি। যারা এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেনি। তারা শুধুমাত্র লুটপাট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদনাম হয়েছে। আমাদের উচিত এবার সেই বদনাম ঘোচানোর। যারা এলাকার মানুষের দরদ বুঝে, যারা এলাকার উন্নয়নে কাজ কবরে তাকে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা আজকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন তারা এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের কথায় ভোট আসে। আমি যদি আপনাদের রায় নিয়ে এমপি হতে পারি তাহলে এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই আমার ঈগল প্রতীকে ভোট দেবেন আপনারা।

এ সময় আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। হামলা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এবার ভোটের মাধ্যমে জবাব দেব।  

নির্বাচনী এ জনসভায় সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বল্লবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু, রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন, যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যা, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহিদুজ্জামন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আলী চৌধুরী, সালথা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণায় সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করেন জামাল হোসেন মিয়া। তিনি নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।