ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নৌকার মাঝি হতে এক আসনে ২১ জনের লড়াই 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
নৌকার মাঝি হতে এক আসনে ২১ জনের লড়াই 

পটুয়াখালী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে পটুয়াখালীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। নিজ দলের প্রতীক নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছুটছেন নেতারা।

অনেকেই মনে করছেন নৌকা পেলেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যাবেন।  

এবার নৌকার মাঝি হতে পটুয়াখালী জেলার চার আসন থেকে মনোনয়ন কিনেছেন ৬৭ জন। কেবল  এক আসনের বিপরীতে ২১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

পটুয়াখালী -১ (পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা) আসনে ১৩ জন, পটুয়াখালী -২ ( বাউফল উপজেলা) আসনে ১৩ জন, পটুয়াখালী -৩ (গলাচিপা দশমিনা উপজেলা) আসনে ২১ জন, পটুয়াখালী -৪ ( কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা) আসনে ২০ জনসহ মোট ৬৭ টি ফরম সংগ্রহ ও জমা পড়েছে।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীদের মধ্যে অনেকের নির্বাচন করার মতো ক্লিন ইমেজ নেই। অনেকের আর্থিক সচ্ছলতা কিংবা জনপ্রিয়তা কোনোটাই নেই। তবুও তারা এমপি হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।  

মনোনয়ন কেনায় একই পরিবারের একাধিক সদস্য রয়েছেন। রয়েছেন বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, ও সহোদর ভাই।  

এছাড়াও একই ব্যক্তি দুটি আসনে মনোনয়ন কিনেছেন বলেও জানা গেছে। রয়েছেন পদ-পদবি বঞ্চিত ও দলের কর্মী নয় এমনও। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীও রয়েছেন তালিকায়।

পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগ পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা, পটুয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারেকুজ্জামান মনি,পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক ভিপি মো. খলিলুর রহমান মোহন। তিনি‌ পটুয়াখালী ২ আসনের জন্য ফরম সংগ্রহ করেছেন।  

আরও রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও পটুয়াখালী মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কানিস সুলতানা হেলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ হাওলাদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাজীব পারভেজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আশরাফ, সাংবাদিক নাজনীন নাহার, কাজী নজরুল ইসলাম, নিখিল চন্দ্র গুহ, গাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন যারা

সাবেক চিফ হুইপ ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, কৃষক লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক‌ অ্যাড খন্দকার শামসুল হক রেজা, বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাসিবুল আলম তালুকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেদুল হক সুপ্ত, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ফিরোজ আলম, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক ভিপি খলিলুর রহমার মোহন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল, মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ খাননুন ফরাজি , প্রিন্সিপাল মাহবুবুর রহমান , অ্যাড মিজানুর রহমান , ইসমত আরা হ্যাপী


পটুয়াখালী -৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন যারা 

বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা, পটুয়াখালী জেলা আ.লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, দশমিনা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আবদুল আজীজ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইকবাল মাহমুদ লিটন, সাবেক বিজিবি প্রধান লে. জে. (অব.) আবুল হোসেন আজাদ, গলাচিপা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের ছেলে আ স ম জাওয়াদ সুজন, অ্যাড. ফখরুল ইসলাম মুকুল, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক তসলিম সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. শাখাওয়াত হোসেন, এসএম ফজলুল হক, ইকবাল হোসেন জমাদ্দার, মাহমুদ হোসেন বাবুল চৌধুরী, আব্দুল সালাম, আহসানুল হক তুহিন, ইসকান্দার আলী, আরিফুল রহমান টিটু, জি এম কাওসার ইসলাম সোহেল, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হিরণ আহমেদ।

পটুয়াখালী- ৪ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন

বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. মহিব্বুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ মোহাম্মদ হাসিব, সাবেক এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহাবুবুর রহমান তালুকদার ও তার ছোট ভাই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সভাপতি শামীম আল সাইফুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বর্তমান কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, কলাপাড়া পৌরসভা মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ও তার ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, বর্তমান এমপির স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার রেখা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, মো. বাশেদ শিমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আখতারুজ্জামান কোক্কা ও তার ছেলে যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, শহিদুল্লাহ ওসমানী, এবং গৌতম চন্দ্র হাওলাদার।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।