ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা বিএনপির’

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
‘জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা বিএনপির’ কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে বিএনপি দেশে অচলাবস্থা তৈরির অপচেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসব অপচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন বলে সভায় অংশ নেওয়া দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।  

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।  নির্বাচন পর্যন্ত এই সতর্ক অবস্থান অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। নির্বাচন যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সেজন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে, যাতে তারা ভোট দিতে আসেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে, সেটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে আসতেও পারে। কারণ তারেক রহমানের টাকার প্রয়োজন, নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করতে পারবে।

সূত্র আরও জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিক থেকে এবং বাংলাদেশের নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের যে তৎপরতা রয়েছে সে বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন, বিশেষ করে তাদের ব্যাপারে কথা বলা থেকে বিরত থাকা বা সতর্ক হয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।

দলের নেতাদের যার যার জায়গায় দলীয় নেতাকর্মী ও দলের স্থানীয় কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় রাখতে হবে। কে বা কারা কোথায় কোথায় সহিংসতা করে তারা কোনো দলের সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ব্যাপারে তথ্য দিতে হবে। এসব করতে পারলে ওরা আর সাহস পাবে না সহিংসতা করার। তবে এই কাজগুলো শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সেটা যেন শান্তিপূর্ণ হয়, শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়। এগুলো প্রতিহত করে নির্বাচন করতে হবে। তবে আমরা একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খাদ্যদ্রব্যসহ জরুরি সরবরাহগুলো যাতে কোনোভাবে বন্ধ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। জরুরি সরবরাহ বন্ধ করে অচলাবস্থা তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য বলেও তিনি জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ যাতে বন্ধ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জরুরি সরবরাহগুলো যাতে কোনোভাবে বন্ধ করতে না পারে। তাদের লক্ষ্য এসব বন্ধ করে অচলাবস্থা তৈরি করা, মানুষের কষ্ট দেওয়া, দুর্ভোগ সৃষ্টি করা। দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচার করতে হবে এবং মানুষকে নির্বাচনমুখী করার উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।