ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৩
‘গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ’

ঢাকা: গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট।

শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জোটের অস্থায়ী কার্যালয় সিপিবি অফিসে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভা থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ ও বাসদ মার্কসবাদীর নেতা সীমা দত্ত।

দেশের বর্তমান সংঘাত-সংঘর্ষময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সভায় বলা হয় বিরোধী মত দমনে সভা সমাবেশে হামলা, গায়েবি মামলা, বিরোধী নেতারাসহ গণগ্রেপ্তারের ঘটনা আগামী দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনিশ্চিত করে তুলছে।

নেতারা অবিলম্বে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান।

সভার এক প্রস্তাবে বেলজিয়াম সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এবং সংসদের অধিবেশনে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে বলা হয়, এ ধরনের বক্তব্য পরমত সহিষ্ণুতার গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষা-মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।

নেতারা সরকারের প্রধান এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করে পরমত সহিষ্ণুতা দেখানোর ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান।

সভার এক প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয় গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সভার অপর এক প্রস্তাবে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত মজুরির দাবি না মেনে বলপ্রয়োগ এবং পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা গুলি করে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার-বিচার এবং শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়সঙ্গত ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

সভার প্রস্তাবে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দুর্ভোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় সরকার কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করার পরেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। উপরন্তু আলু, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে। দ্রব্যমূল্যের গাগলাঘোড়া থামাতে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ এবং নিত্যপণ্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতায় আনার জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।

সভার আরেক প্রস্তাবে মামলা, গ্রেপ্তার করে বিরোধী মত দমনের পথ পরিহার করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।