ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তবে পুলিশ বলছে আটকের সংখ্যা ১২ জন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আটকদের মুক্তিও দাবি জানান। অপরদিকে নেতাকর্মীরা আটক হলেও খবর নেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের। তাদের নেতাকর্মীরা খুঁজে পাচ্ছেন না, তারাও কারো খোঁজ খবর নিচ্ছেন না।

আটকরা হলেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা, আবু বকর সিদ্দিক, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ পনেছ, সদর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, বন্দর থানা যুবদল নেতা মাসুদ রানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর থানা বিএনপি নেতা ফয়সাল আহমেদ, বিএনপি নেতা রাব্বি মিয়া, নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তারেক, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডাক্তার মনির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, রূপগঞ্জ থানা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সদস্য মো. হুমায়ুন, নাসিক ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল, নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. সোহেল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. মাসুদ ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. সামসুল হক।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের দুইজন আইনজীবীকে আদালত থেকে এসপি অফিসে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি রোববার রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করে মহানগর বিএনপির সাতজনসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তারের সংবাদ আমরা পেয়েছি। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি। শুধু ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে ভীতি ছড়াতেই এই গ্রেপ্তার। দ্রুত এভাবে রক্ষী বাহিনীর মতো আচরণ বন্ধের দাবি জানাই।

আটকদের মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে জেলা বিএনপির আটক নেতাদের বিষয়ে কথা বলতে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

নেতাকর্মীরা জানান, কর্মসূচি আসলেই জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন ফোন ও অনলাইন বন্ধ করে রাখেন। ফলে নেতাকর্মীরা তাদের খুঁজে পান না। একই ঘটনা গত ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থানের কর্মসূচির দিনও হয়েছে। সেদিন তাদের এহেন আচরণে রাজপথে তাদের দেখা পাওয়া যায়নি, নেতাকর্মীরাও তাদের পাননি।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এমআরপি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।