ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কাফরুল থানা যুবদল নেতা রাব্বিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
কাফরুল থানা যুবদল নেতা রাব্বিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ফাইল ফটো

ঢাকা: কাফরুল থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মিরপুর ১১ নম্বরের ইসলামী হসপিটাল থেকে রাব্বিকে সাদা পোশাকের কিছু লোক তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুইটি।

এ নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে যখন নিয়ে গিয়েছিলেন তখন হাসপাতাল থেকে তাকে সাদা পোশাকে কিছু লোক তুলে নিয়ে যায়। এমনকি আশপাশের থানাসহ ডিবি অফিসে খোঁজ নিলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি৷

কাফরুল থানা যুবদল নেতা রাব্বিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুইটি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আমার হাসবেন্ডের খোঁজ পাচ্ছি না। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানায় খোজ নিচ্ছি, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি তার। ডিবি অফিসে পর্যন্ত খোঁজ নিয়েছি। আমি আজকে রাত পর্যন্ত খুঁজে না পেলে জিডি করব।

তিনি বলেন, আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিএনপির সিনিয়র যে নেতারা আছেন তাদের কাছে জানাবো। আমার একটিই চাওয়া আমার হাসবেন্ড যেভাবে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন, সেভাবে সুস্থ অবস্থায় যেন ফিরে আসেন। তার তো কোনো অন্যায় নেই। সে বিএনপির রাজনীতি করে, আর এটিতো কোন অন্যায় না। এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ।

তিনি বলেন, আমার স্বামীর নামে এ পর্যন্ত যতগুলো মামলা আছে সবই রাজনৈতিক মামলা। ২০২১ সালেও রাজনৈতিক মামলায় দুই মাস জেল খেটেছে। দেশের অবস্থা এমন, পারলে গরু চুরির মামলাও দিতে পারে আমার স্বামীর নামে। সব কিছুতেই মামলা দেয়।

বিএনপি নেতা রাব্বিকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাবার বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মাসুদুর রহমান মিয়া বাংলানিউজে বলেন, মিরপুর-১১ নাম্বার ইসলামী হাসপাতাল থেকে আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য কাউকে গ্রেপ্তার করেননি। এমন কি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও এখন পর্যন্ত আমার কাছে বা থানায় আসেনি।

এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ফারুকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর ১১ নাম্বার ইসলামী হাসপাতাল আমাদের থানার আয়তায় পড়ে না। এটি পল্লবী থানার অধীনে। পাশাপাশি বিএনপির কোনো নেতাকে আটক করা হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কাফরুল থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাব্বির বর্তমান রাজনৈতিক মামলার সংখ্যা মোট ৭৮টি। এখন পর্যন্ত অব্যাহতি পাওয়া মামলার সংখ্যা ২৭টি। এর আগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে কাফরুল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এবং প্রায় তিন মাস পর তিনি জামিন পান।


বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭  ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।