ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত নারী: ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত নারী: ফখরুল

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত ও বঞ্চিত নারী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  
 
তিনি বলেছেন, আজ বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

আজ তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আটক করে রাখা হয়েছে। তার ছেলে তারেক রহমানকে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।  

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে একদফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে ১ দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।  

এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একজন নারী। ১৯৭৫ সালে যিনি স্বামীকে হারিয়েছেন। ১৯৭১ সালে যিনি তার দুই সন্তান আরাফাত রহমান কোনো ও তারেক রহমানকে নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাকে বন্দি করেছিল। তিনি ৯ মাস সংগ্রাম করেছেন। আজ এই দেশের সবচেয়ে অত্যাচারিত ও বঞ্চিত নারী হলেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।  

তিনি বলেন, সরকার জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাইরে বের হয়ে এলে তার বাঁশির সুরে সমস্ত মানুষ বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তাকে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, যদি দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা না হয় তাকে যদি সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হয়, যদি তার কিছু হয় তবে এই হাসিনার সরকার দায়ী থাকবে।  

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।  

তিনি বলেন, আজ চাল, তেল, লবণসহ সব দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য যে হার বেড়েছে তা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরের চলে গেছে। দুবেলা ঠিকমতো ভালো খাবার খেতে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষেরা। এই (আওয়ামী লীগ) সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যাতে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেন। আমরা আর কিছু চাই না। কিন্তু এই সরকার দেশের মানুষকে শোষণ করতে করতে লুটপাট করে ফোকলা দেশে পরিণত করেছে। লুট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পকচার করেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে, বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছে। আপনারা দেখুন, বিচার ব্যবস্থা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। আজ যাদের স্বাভাবিকভাবে জামিন পাওয়া দরকার তারা পাচ্ছে না। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৭১৯ জনকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। আজকে নব্বই ও পচাত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যদম নেতা আমান উল্লাহ আমানকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসজেএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।