ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আ. লীগকে ধ্বংস করে প্রশাসনকে আ. লীগ বানানো হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
‘আ. লীগকে ধ্বংস করে প্রশাসনকে আ. লীগ বানানো হয়েছে’

ঢাকা: গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এ আওয়ামী শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছর ধরে প্রতিনিয়ত জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার ও ধোঁকাবাজি করে যাচ্ছে। কোথাও আওয়ামী লীগ নেই।

আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে প্রশাসনকে আওয়ামী লীগ বানানো হয়েছে। গত ২টি উপনির্বাচনে ৭ শতাংশ ও ১১ শতাংশ ভোটই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের ভোট নেই। জনগণের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার যে অপকর্ম গত ১৫ বছরে করেছে প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার এ বাংলাদেশের মাটিতে হবে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেমর) বিকেল ৪টায় গণফোরাম চত্বরে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফা দাবি ও ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আবার নিরপেক্ষ সরকার হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ নিজের পছন্দমতো ভোট দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনে গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

গণসমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন, ভারতের সার্টিফিকেটে দেশ চলছে। এদেশে আমাদের লাখ লাখ বেকার যুবক চাকরির জন্য দিশেহারা আর ভারতের জনগণ আমাদের বড় বড় পোস্টগুলো দখল করে আছে। দুর্নীতিবাজদের বিচার হয় না কিন্তু ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রহসনের বিচার করছে সরকার। অবিলম্বে এ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে দেশে গণতন্ত্রকে ২০১৪ ও ২০১৮ সনের নির্বাচনের মাধ্যমে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার সেই গণতন্ত্রবিহীন দেশে আমরা আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করছি। এ কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে এ দেশে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। এটিই আজন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব মো. আবদুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র দিবসে এদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। এ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই জেল জুলুম হামলা মামলা করা হয়। কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ কয়েদি বন্দি অবস্থায় আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাতিজাতুল কোবরার শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এস আলমের দুর্নীতির খবর ছাপা হয় না আর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই প্রহসনের বিচার শুরু হয়। অবিলম্বে এ সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম সরদার, ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন জোয়ার্দারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।