ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে: কাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান।

এ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সংলাপের কোনো প্রশ্নই উঠবে না।

বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এ বৈঠক।

দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইইউ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ওবায়দুল কাদের প্রেস ব্রিফিং করেন।

তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বললো। আমরা জানিয়ে দিয়েছি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংবিধান অনুসারেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। এখানে মূলত একটা ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকার, তাদের চাওয়াটা হলো বাংলাদেশে তারা একটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। আমরাও বলেছি, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে এটা আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা এখানে নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এর বেশি আমরা বলতে চাই না। অনেক কথা হয়েছে ইতিবাচক, তারা মতবিনিময় করেছেন সুন্দরভাবে। আমাদের প্রতিনিধিদলও প্রত্যেকেই কথা বলেছেন, তারাও যারা এসেছেন সবাই কথা বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে যা কথা হয়েছে তা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা নিয়ে কেন আমরা বিতর্ক করতে যাবো। আমি সংবিধান, আইনের বিষয় যেটা বলেছি, সেটা বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থায় তারা এখানে নির্বাচন দেখতে চায়।

সংলাপ নিয়ে কোনো কথা তারা বলেছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নো সংলাপ ও তত্ত্বাবধায়ক এ সময় কোনো কিছু, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, সরকারের পদত্যাগ এসব কোনো কিছুই আলোচনাই হয়নি।  

আওয়ামী লীগের কাছে তাদের চাওয়া কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পর্কে অসন্তোষের কিছু তারা বলেনি। তারা তো এখানে যে ভিশনটা নিয়ে এসেছেন সে ব্যাপারে যা যা বলার, আলোচনা করার সেটাই তারা ডিসকাস করেছেন। কাজেই আমরা আগ বাড়িয়ে কেন এসব কথা বলতে যাবো।

মার্কিন প্রতিনিধিদলে যারা এসেছেন তারা সংলাপের ওপর জোর দিয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বলি বাংলাদেশের সংবিধান, এর বিধি-বিধান নির্বাচন সম্পর্কে এর কোনো ব্যত্যয় আমরা মানি না। এটা একটা বিষয় আরেকটা বিষয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্বে যেভাবে থাকে বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। আর এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগ প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নই ওঠে না।

তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা, কি বলেছেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সে সম্পর্কে এখানে কেন বলবে, আপনি হলে কি বলতেন?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মো. জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।