ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি: রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারে বিএনপি নেতাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এমপি পদমর্যাদার হলে সরাসরি ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও এই আইন মানা হয়নি।

 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলহাজ্ব এম. এ মান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে অধ্যাপক এম. এ মান্নান স্মৃতি পরিষদ।

জেলখানায় নির্যাতনের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কারাগারের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা সিসি ক্যামেরায় দেখেন আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলছে কি না। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা এটা করেছেন। যাতে তারা আরো প্রমোশন পান। কারাগারের ভেতর তারা আরেকটা কারাগার তৈরি করেছেন বিএনপি নেতাদের জন্য।

তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ১৫ দিনের সফরে বিদেশ গেছেন। জনগণ আপনার কাছে জানতে চায় জাপান থেকে ঘুরে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। সেখান থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আবার লন্ডন। কেন এত দৌড়ঝাপ, দেশের কী কী বিক্রি করতে গেছেন! নির্বাচনের টিকে থাকার গ্যারান্টি আদায় করতে গেছেন? 

অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, এমন এক জুলুমের বৃত্তে আমরা আটকে আছি, তা সত্যিই বিষ্ময়কর। যারা আমরা বিরোধী দল করি, বিএনপি করি, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে বুকে ধারণ করি, স্বার্ভভৌমত্বের কথা বলি, স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করার কথা বলি, আমরা আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন ও অত্যাচারিত।  

রিজভী বলেন, এম এ মান্নানের অপরাধ কী? তিনি সকল কিছুকে অতিক্রম করে জনগণের মেয়র হলেন। ১৯৯১ সালে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। তার জনপ্রিয়তা যাচাই করার ক্ষমতা শেখ হাসিনার নেই। তাই এম এ মান্নান মেয়র হওয়ার পর তার দিবানিশি কেটেছে চার দেয়ালের মাঝে। মেয়র হিসেবে ১২ বছর গেলে বোঝা যাবে তিনি দুর্নীতি করেছেন, না করেননি। কিন্তু তার আগেই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। একটা মানুষ জনগণের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলেন, একজন সুস্থ সবল মানুষ। তারপর তাকে কারাগারে নিয়ে তিলে তিলে মারা হলো। যেমনি করে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়ে এখন অসুস্থ। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও মনে করেন এই নেতা।  


গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য ও কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ. কে. এম ফজলুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো।  

এছাড়াও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য কাজী হাইয়েদুল আলম বাবলু ও মো. মজিবর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এসসি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।