ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে আ.লীগ ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে: গয়েশ্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে আ.লীগ ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে: গয়েশ্বর

সাভার (ঢাকা): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেছেন, এই যে তেলের দাম বৃদ্ধি, গ্যাসের দাম বেড়েছে একদম অকারণে। এই যে বিদ্যুতের ক্রাইসিস, এটা তাদের (আওয়ামী লীগ) সৃষ্ট।

এটার মধ্য দিয়ে তারা বহু কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যার পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা। যার কারণে আজ দেশের অর্থনীতির এই অবস্থা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় আশুলিয়া থানা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির এই নেতা এসময় বলেন, প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন আমরা এই রমজান মাসে কর্মসূচি দিলাম! আমরা জনগণের জন্য কর্মসূচি দিয়েছি, জনগণের পক্ষে, জনগণের দাবি জানাতে। এই রমজান মাসে কোনো জিনিসের দাম কী কমেছে? কমেনি, বরং বেড়েছে।

তিনি বলেন, এলাকায় এলাকায় চাঁদাবাজি বেড়েছে, জুলুম নির্যাতন, অত্যাচার বেড়েছে। এইযে তেলের দাম বৃদ্ধি, একদম অকারনে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এইযে বিদ্যুৎ এর ক্রাইসিস, এটা তাদের (আওয়ামীলীগ) সৃষ্ট। এটার মধ্য দিয়ে তারা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যার পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা। যার কারনে আজ দেশের অর্থনীতির এই অবস্থা।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, দুই চারটি দেশে গিয়ে বিদ্যুতের কথা বলে যে প্রকল্পগুলো তৈরি করা হয়েছে, তাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা, তা যদি উৎপাদন হয়, তাহলে দেশে বিদ্যুতের ক্রাইসিস থাকতে পারে না। উল্টো তাদের বিদ্যুতের জ্বালানি কেনার পয়সা নাই।

এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রশাসনের যারা আছেন, তাদের বলবো, তারা দেশের প্রশাসন, তারা এই রাষ্ট্রের প্রশাসনেরই কর্মকর্তা। তারা আমাদের মতই দেশের নাগরিক। পার্থক্য হলো, আমরা রাস্তায় থাকি, তারা অফিসে কাজ করেন। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে যাওয়া তাদের কাজ না। যদি প্রশাসন জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে অবস্থা কী হতে পারে? তাহলে পরিস্থিতি হতে পারে ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, তখনও প্রশাসন, পাকিস্তানি পুলিশ, আমাদের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিল। আমরা ৯ মাস যুদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি ন্যায় বিচারের জন্য, আমরা দেশটা স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। অথচ আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। সেই কারণে নৈতিক দায়িত্ব থেকে আজ আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি, জনগণের পক্ষে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি। আর দুর্নীতির মাধ্যমে যারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেই টাকা আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য।

অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবু, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া, আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
এসএফ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।