ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা: বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে জোটের নেতারা।

পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মোড়, পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পর্যন্ত যান। এ সময় তারা সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন এবং তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লে-কার্ড দেখা যায়।
পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ জোটের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। আর অনির্বাচিত সরকার ভোট না করে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোন ভালো কাজটি করেছে? চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে না, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না। এটাকে কোনো উন্নয়ন বলা যায় না।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা আজকে এমন জায়গায় এসেছে, নির্বাচনে হিরো আলমকেও জেতাতে সাহস করে না। ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দী এখন হিরো আলম। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নিজেদের অবস্থা এমন জায়গায় এনেছে, হিরো আলম তাদের চ্যালেঞ্জ করছে, আর ওবায়দুল কাদেরের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সাহস নেই।

তিনি আরও বলেন, লুটপাট, দুর্নীতি, দেশকে বিভাজিত করে দেশের সার্বভোমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলাই হচ্ছে এই সরকারের কাজ। এটাই তারা করতে থাকবেন। বিভিন্ন দেশের কোম্পানি ও সরকারকে সুবিধা দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় তারা (সরকার) এখন সেই চেষ্টা করছেন। ভাবছে আদানিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ দিলেই মনে হয় ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। এভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় থাকার আপনাদের যে স্বপ্ন-বিলাস, তা দেশের মানুষ ভেঙে তছনছ করে দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসসি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।