ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দরখাস্ত করে বাকশালে যোগ দিয়েছিল জিয়া’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
‘দরখাস্ত করে বাকশালে যোগ দিয়েছিল জিয়া’  ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: জিয়াউর রহমানের বাকশালে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বাকশাল নিয়ে গালি দেয়। অথচ বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে বাকশালে যোগ দিয়েছিল।

 

তিনি বলেন, সেনাপ্রধান, চিফ অব আর্মি স্টাফ- এদের পদাধিকারবলে (বাকশালের) সদস্য হওয়ার কথা। কিন্তু জিয়াউর রহমান উপ-সেনাপ্রধান ছিল, তার বাকশালের সদস্য হওয়ার কথা না।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের।

জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতক- উল্লেখ করে কাদের বলেন, এদেশে চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ কি ভিত্তিহীন? বিশ্বাসঘাতক না থাকলে কি ১৫ আগস্ট ঘটত? জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতা, খন্দকার মোশতাকের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ১৫ আগস্ট ঘটেছে।

৩-৭ নভেম্বর কত সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।

ফখরুলের সমালোচনা করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, এসব আজগুবি কথা। ফখরুল মাঝে-মধ্যে উদ্ভট কথা বলে। জিয়া পারলে আওয়ামী লীগকেই ধ্বংস করে দেয়। ৭৫ ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে।  

ফখরুলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা! বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হলো কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন?

শেখ হাসিনাকে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে জিয়াউর রহমান বারবার বাধা দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।  

ফখরুলের সমালোচনা করে কাদের বলেন, নেত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে নাকি আমি তোষামোদি করেছি। আপনাদের কামনায় আওয়ামী লীগের ধ্বংস। শেখ হাসিনার জীবন নিরাপদ নয়, এটা বলে নাকি মহা অন্যায় করে ফেলেছি।

 সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।