ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

মোদির দেশের মুক্তমত

মোদি-মমতার বাংলাদেশ সফর | স্রোতস্বিনী চট্টোপাধ্যায়

মুক্তবিশ্লেষণ/মুক্তমত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
মোদি-মমতার বাংলাদেশ সফর | স্রোতস্বিনী চট্টোপাধ্যায়

আগামী ৬ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছেন প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু’দিনের এ সফর দুই বন্ধুদেশের মধ্যকার যোগাযোগ, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফর নিয়ে কী ভাবছেন মোদির দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বাংলানিউজের বিশেষ আয়োজনে থাকছে তাদের মতামত।  

কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশ সফরের সিদ্ধান্ত নেন, তখন আপামর জনতার প্রত্যাশা খানিকটা বেড়ে যায় বৈকি। বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো নতুন সম্পর্কের সূচনাই কি তৈরি করতে চলেছে এ যাত্রা?


সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি ভারতের এক জনপ্রিয় কাগজে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থায়িত্ব নিয়ে আসবে।

মোদি আরও বলেছেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সংসদের অনুমোদন নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তিটি করতে চলেছে ভারত। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে এ সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের পরও সেই বিতর্ক বহাল রয়ে গিয়েছে। আমরা এ বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছি এবং সেটা সর্বসম্মতির ভিত্তিতে, এটা আদৌ সামান্য ঘটনা নয়।

অর্থাৎ এ সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, আয়তনে বাংলাদেশ ছোট হলেও ভারতের কাছে তার ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, উন্নয়নের সাহায্যে দুইদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

এ যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য মোদি একগুছ প্রকল্পের কথাও জানিয়েছেন যেমন- কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত তৈরি হয়েছে নতুন বাসরুট। মিলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও আগরতলা সরকারের সাহায্য। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জাহাজ পরিবহন বিষয়ক একটি চুক্তির খসড়াও পেশ করা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। সেই চুক্তিতে দু’দেশের মধ্যে পণ্য সরবারহ ব্যবস্থার উন্নতি হবে বলেই মনে করছে মন্ত্রীমহল।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। তাই এ চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যবে বলেই মনে করছে দুই দেশ।

এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সফরে গঙ্গা ও তিস্তা ছাড়া আরও যে ৫৮টি নদীর জলবণ্টন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে সবই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।

এবার দেখা যাক, এ চুক্তিগুলোর সঙ্গে সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতির কোনো বাস্তব রূপ দেখা যায় কিনা। এই উন্নতির প্রতিক্ষায়ই রয়েছে দুইদেশের দেশবাসী।

স্রোতস্বিনী চট্টোপাধ্যায়
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এসএস

** মোদির বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় হিসেবে আশা ‍| অভীক দত্ত
** মোদির বাংলাদেশ সফর: কিছু ভাবনা | পরিচয় পাত্র
** মোদি-মমতার যৌথ সফর | অরুণ চক্রবর্তী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।