ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

শ্রদ্ধাঞ্জলি

বঙ্গবন্ধুর সেই আলিঙ্গন ভুলবার নয়

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫
বঙ্গবন্ধুর সেই আলিঙ্গন ভুলবার নয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছবি: ইন্টারনেট থেকে

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম শুভ জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন বাংলার আকাশের আলোকবর্তিকা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী এই মহান ব্যক্তি।

তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের পথিকৃত হিসেবে মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম করে বাংলার মাটি ও মানুষের সাথে আজো তিনি মিশে আছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য নাম। যতদিন বাংলার মানচিত্র থাকবে, যতদিন বাঙালির ইতিহাস থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন অমর-অবিনশ্বর। বাংলার স্বাধীনতা, ভাষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালিরূপে বঙ্গবন্ধু থাকবেন চিরজাগ্রত। রাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা ইউএসবি বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড পলিটিক্যাল পোয়েট’ হিসেবে।

সভ্যতার শুরু থেকেই বারবার মানবতা হয়েছে ভূলুণ্ঠিত, শোষক ও শোষিতের ব্যবধান বেড়েছে, উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে শোষণের মাত্রা—হোক তা প্রাচ্য কি তার বিপরীত গোলার্ধ। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের উপর অমানুষিক নির্যাতন বন্ধে, মানুষ হিসেবে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পড়েছিলো একজন মার্টিন লুথার কিং বা ম্যালকম ম্যাক্স এর। ঠিক তেমনি বাঙালীদের অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি সীমাহীন বৈষম্য রোধ করতে দরকার হয়েছিলো শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক মহানায়কের।

পাকিস্তান কেবল অর্থনৈতিকভাবে আমাদেরকে শোষণ করতে চায়নি, বরং তাদের আগ্রাসী হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ, শিক্ষা ইত্যাদির উপর। সামরিক স্বৈরশাসনের শাসনের মাধ্যমে প্রচণ্ড চাপ, অনিশ্চয়তা, ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে যখন বাঙালীদের এরা হাতে ধরা সুতোয় পুতুলের মতো নাচাতে চেয়েছিলো, ঠিক তখনই স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন নিষ্ঠা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা, একাগ্রতা, সাহসিকতায় এবং সর্বোপরি দৃঢ়তায় এই বজ্রকণ্ঠস্বরধারী মানুষটি। বাঙালীর স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন সেই ঐকান্তিক প্রয়োজনের সময়ে।

আমার বাবা এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে সরাসরি রাজনীতি করার সুবাদে দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই আমাদের বাসায় আসা-যাওয়া ছিল বঙ্গবন্ধুর। ফলে পারিবারিক ও ব্যক্তিগতভাবেই আমরা তার সম্পর্কে জানতাম। আজ বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মদিনে তাকে নিয়ে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে।

তবে ১৯৭৩ সালের ঈদুল ফিতরের দিনে আমাদের বাসার আঙ্গিনায় বঙ্গবন্ধুর সাথে কোলাকুলির স্মৃতি যেন কোনোভাবেই ভুলতে পারি না।
 
ওই সময়ে আমি ও আমার ছোট ভাই এহসানুজ্জামান স্বপন পশ্চিমবঙ্গে লেখাপড়া করতাম। মাঝে মধ্যে ছুটিতে আসতাম। এমনি ১৯৭৩ সালে ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আসলাম। তখন ২৩ হেয়ার রোডে আমাদের বাসা। ঈদুল ফিতরের দিন আমরা দুই ভাই বাবার সাথে ঈদের নামাজ পড়ে বাইরেই ফুলের বাগানে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হঠাৎ গাড়ির শব্দ শুনে আমরা পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি বড় গাড়ি আমাদের বাসার বারান্দার কাছে এসে থেমেছে। গাড়ী থেকে বিশাল সুঠাম দেহের অধিকারী বঙ্গবন্ধু নামছেন। হঠাৎ বঙ্গবন্ধুকে আমাদের বাসার সামনে দেখেই হতবাক, তিনি গাড়ি থেকে নেমেই ‘হেনা তুই কোথায়? বলে ডাকলেন- বাবা বাসার উপর তলা থেকে নেমে আসলেন। এসময় বঙ্গবন্ধু এগিয়ে গিয়ে বাবার সাথে কোলাকুলি করলেন। এসময় আমরা দুই ভাই কাছেই দাঁড়িয়েছিলাম। বাবার সাথে কোলাকুলি শেষে জিজ্ঞেস করলেন ‘এরা তোর ছেলে না?’ বাবা হ্যাঁ বলার সাথে সাথে আমাদেরকেও ‘এদিকে আয়’ বলে সম্বোধন করলেন, আমরা দুই ভাই এগিয়ে গেলে আমাদের সাথেও তিনি কোলাকুলি করলেন এবং আমাদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিলেন। এসময় তিনি আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে এবং পিঠে চাপড় দিয়ে বললেন, ‘ভবিষ্যতে তোমরা অনেক বড় হবে’। বঙ্গবন্ধুর এই মহানুভবতার স্মৃতি কোনোদিন ভুলে যাবার নয়।

যতদূর মনে পড়ে, আমাদের হেয়ার রোড এবং ধানমন্ডির বাসায় বঙ্গবন্ধু অনেকবারই এসেছিলেন।

আমরা দেখেছি, বঙ্গবন্ধু বরাবরই অটল থেকেছেন তার নীতিতে এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন অহিংস পন্থায় বাঙালীর অধিকার অর্জনের এ আন্দোলনে সফল হতে। তাই দেখা যায়, ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ক্ষমতা তাদের না দেওয়ার পরও তিনি সহিংসতায় না গিয়ে ভুট্টোর ক্ষমতাভাগের দাবির তীব্র সমালোচনা করেন।

যুক্তিসঙ্গত দাবি না মানার পর পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়াতেই ৭ই মার্চ তাকে রচনা করতে হয় বাঙালীর জীবনের নয় কেবল পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য সাধারণ মানব মুক্তির কবিতা।

১৯৬৩-র ২৮ আগস্ট বর্ণবাদী আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুখার কিং এর সেই “আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম” মহাকাব্যের পর আরো একটি মহাকাব্য রচিত হয় ১৯৭১ এর ৭ মার্চে রেসকোর্সের ময়দানে। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ এর জন্য তাঁর ভাষণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য রচনার মাহেন্দ্রক্ষণ যা দিয়েছে আমাদের লাল সবুজের পতাকার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।

বঙ্গবন্ধু জীবনব্যাপী একটিই সাধনা করে গেছেন তা হলো- বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা। তার এই সাধনার শুরু ১৯৪৮ থেকে। তাই '৪৮-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে গঠন করেছিলেন ছাত্রলীগ এবং '৪৯-এর জুনের ২৩ তারিখে আওয়ামী লীগ।

সেই থেকে বাঙালির জাতীয় মুক্তি-সংগ্রামের প্রতিটি আন্দোলনকে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। বাল্যকাল ও কৈশোর থেকেই যে সংগ্রামের শুরু, তা থেমে থাকেনি; বরং কালক্রমে তা বিস্তৃত ও প্রসারিত হয়ে সমগ্র বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের এক মহৎ প্রচ্ছদপট এঁকে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন ইতিহাসের মহামানব।

বঙ্গবন্ধু তার জীবনের প্রতিটি ধাপেই বাঙালির সার্বিক মুক্তির জয়গান গেয়েছেন। তিনি তো সব সময় বলতেন, এমনকি দু'দুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন, 'ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। ' যে বাংলার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, যে বাংলার জন্য তিনি যৌবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, মৃত্যুদুয়ারে দাঁড়িয়ে গেয়েছেন বাঙালির জয়গান, সেই বাংলা ও বাঙালির জন্য তার ভালোবাসা ছিল অপরিসীম।

বিশাল হৃদয়ের মহৎ মনের মানুষ ছিলেন তিনি। নিজের সব কিছুই জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। অতি সাধারণ জীবন ছিল তার। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েও নিরাভরণ, ছিমছাম আর আটপৌরে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতেই আমৃত্যু থেকেছেন।

একবার এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, 'একজন মানুষ আর কী চাইতে পারে- আমি যখন ভাবি দূরে এক জনশূন্য পথের ধারে আধো আলো-ছায়ায় এক লোক লণ্ঠন হাতে দাঁড়িয়ে আছে শুধু আমাকে এক নজর দেখবে বলে, তখন মনে হয়, একজন মানুষের পক্ষে আর কী চাওয়া-পাওয়ার থাকতে পারে। '

নিরন্ন, হতদরিদ্র, মেহনতী মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা। তা প্রতিফলিত হয়েছে, অভিব্যক্ত হয়েছে তার প্রতিটি কর্মে এবং চিন্তায়। '৭৩-এর ৯ সেপ্টেম্বর, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত। আমি শেষিতের পক্ষে। ’

কিন্তু আমরা কী দেখলাম- যে মহান নেতা আমাদেরকে শোষণ নিপীড়ন থেকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিলেন তাকেই স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় চক্র ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আর ষড়যন্ত্রের একই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর একই খুনি চক্র জেলখানায় বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করে আমার বাবা শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতাকে। জেলখানা তুলনামূলক নিরাপদ ও সংরক্ষিত এলাকা হলেও কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সেদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের ও জেল প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় জেলখানায় বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের হত্যাকাণ্ড ছিল খুবই অদ্ভুত, বিরল এবং পৈশাচিক ঘটনা। এ রকম নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আর যতদূর জানা যায়, এসব হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিলেন ইতিহাসের কুখ্যাত সামরিকজান্তা মেজর জিয়াউর রহমান।

তারা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও জাতীয় চার নেতাকেই হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এ লক্ষ্যেই নেত্রীর উপর গ্রেনেড হামলা করেছিল। আজো তারা থেমে নেই। আজ যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন খুনী জিয়ার পেতাত্মা ও স্বাধীনতা বিরোধীরা মিলে আবারো ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশের উন্নয়নের গতিকে নানা ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছে। বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করছে দেশের অগ্রযাত্রা।

রাজনীতি ও আন্দোলনের নামে চলছে সহিংসতা, অধিকার আদায়ের নামে অধিকার হরণ, জনগণের স্বার্থ রক্ষার নামে নিজেদের রক্ষায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নিজ দেশের নাগরিককে নৃশংসভাবে পেট্রোল বোমা পুড়িয়ে এবং ধারালো অস্ত্রে ছুরিকাঘাত হত্যা করা হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের রক্তে গড়ে উঠা গণতন্ত্রকে হত্যার এক মহোৎসব।

বোমা-পেট্রোলের আগুনে জ্বলছে যানবাহন, পুড়ছে সম্পদ, বোমায় ঝলসে হতাহত হচ্ছে শত শত মানুষ। চলছে দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ । কোনো মতেই যেন থামছে না তাদের এই খেলা। একবিংশ শতাব্দীর এই সভ্য সমাজে এমন নৃশংস হত্যা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না।

ফলে আসুন আজকের প্রেক্ষাপটে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর সেই মহান আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবারো গর্জে উঠে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করি। এই হোক ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মদিনে আমাদের অঙ্গিকার। সবশেষে মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার সুযোগ্য কণ্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।



লেখক: সাবেক মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের ছে
লে।



বাংলাদেশ সময় ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।