ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

লিভার দিয়ে নাতির জীবনদান

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
লিভার দিয়ে নাতির জীবনদান মায়ের কোলে শিশু।

ছোট বাচ্চাদের প্রায়ই আদর করে ‘কলিজার টুকরা’ শব্দ দু’টি উচ্চারণ করি আমরা। ভারতে সেটিই প্রমাণ করলেন এক নানী।

দেশটির রায়পুরে ৯ মাসের নাতি পিযুষকে নিজের যকৃৎ দান করে দিলেন শিশুটির নানী। ঘটনাটি প্রচণ্ড নাড়া দিয়েছে সবাইকে।

জন্মের সময় জন্ডিস নিয়েই পৃথিবীতে আসে ছোট্ট পিযুষ কুন্ডু। এরপর অনেক চিকিৎসা করা হলেও ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে শিশুটির যকৃৎ। চিকিৎসকরা বলেই দেন, শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব শুধু লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (যকৃৎ স্থানান্তর) করা হলেই।

রায়পুরের স্থানীয় বাসিন্দা দীপা কুন্ডু ছেলেকে নিয়ে এরপর ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালে যোগাযোগ শুরু করেন যকৃৎ পুনঃস্থাপনের। প্রথমত পাওয়া যাচ্ছিল না, দ্বিতীয়ত শিশুটির সাথে ম্যাচ করেনি কারও যকৃৎ।

ধীরে ধীরে প্রাণপ্রদ্বীপ স্তিমিত হয়ে আসছিল ছোট্ট পিযুষের। শিশুটির  বাবা-মা শেষপর্যন্ত হাল ছেড়ে দিলেও এগিয়ে আসে নানী লক্ষী সরকার। পিযুষের সাথে ম্যাচ হয়ে যায় তার যকৃৎ। স্বেচ্ছায় পিযুষকে যকৃৎ দান করতে চান ৪৫ বছর বয়সী লক্ষী।

এরপরও অনিশ্চিতই থাকে পিযুষের জীবন। অপারেশনের ১৫ লাখ রুপি সংগ্রহ করতে পারেন না তার বাবা-মা। এগিয়ে আসেন চিকিৎসকরা। ওর অপারেশনের জন্য সাহায্য চাওয়া হয় সবার কাছে।

অবশেষে গত ১০ সেপ্টম্বের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে অপারেশন হয় পিযুষের। ওর ওজন মাত্র সাড়ে পাঁচ কেজি হওয়ায় ভয় পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে ছোট্ট পিযুশ ভালোভাবেই সাড়া দেয় বেঁচে থাকার। তার নানীর মাত্র ৩০ শতাংশ যকৃৎ এর টুকরা নিয়ে বেঁচে যায় পিযুষ। হাসপাতাল থেকে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সুস্থদেহে বাড়ি ফেরে লক্ষী সরকারের কলিজার টুকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
কেএসডি      

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।