ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

শীতে মজা খেজুর রস ও নলেন গুড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
শীতে মজা খেজুর রস ও নলেন গুড় ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শীতকালের অন্যতম মজার খাবারের নাম খেজুরের রস ও খেজুরের রস দিয়ে তৈরি নলেন গুড়। নতুন ধানের চাল ও নলেন গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস ও পিঠ‍াপুলির স্বাদ যেন ভোলাই যায় না।

আগরতলা: শীতকালের অন্যতম মজার খাবারের নাম খেজুরের রস ও খেজুরের রস দিয়ে তৈরি নলেন গুড়। নতুন ধানের চাল ও নলেন গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস ও পিঠ‍াপুলির স্বাদ যেন ভোলাই যায় না।

তবে খেজুরের গাছ কমে যাওয়ায়, এসব খাবার গ্রাম-গঞ্জে আগের মতো তৈরি হয় না। আগে ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তার পাশে, খেতের আলে, খালি জায়গায় সারি-সারি খেজুর গাছ দেখা যেতো। এখন আর এ দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না।

তবে এখনও ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার মোহনভোগ, চন্দুল, কুকিয়াছড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় খেজুর গাছ দেখা যায়। শীত এলেই এসব এলাকার গাছিরা খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ শুরু করেন। এ বছরও তারা রস সংগ্রহ ও সেই রস দিয়ে গাছিরা নলেন গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

চন্দুল এলাকার মজিদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ২২ বছর ধরে তিনি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে নলেন গুড় তৈরি করছেন। তিনি যখন প্রথমে নলেন গুড় বিক্রি শুরু করেন, তখন প্রতিকেজি গুড় ৬ রুপি কেজি করে সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন বাজারে বসে বিক্রি করতেন।

তিনি এখন খুচরা বিক্রি বন্ধ করে পাইকারি বিক্রি শুরু করেছেন। পাইকাররা এ বছর কেজিপ্রতি ৯০ রুপি দিয়ে বাড়ি থেকে গুড় নিয়ে যাচ্ছেন। আর এই নলেন গুড় আগরতলাসহ রাজ্যের অন্যান্য বাজারে দেড়শ’ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর মজিদ মিয়া মোট ৬০টি খেজুর গাছ কেটেছেন।

শীতের সকালে যখন কেউ লেপের উষ্ণতা ছেড়ে বের হতে চান না, তখন শীত উপেক্ষা করে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন রস সংগ্রহ করার কাজে। রস সংগ্রহ করার পর গাছি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে এই রস একটি বড় কড়াইতে ঢেলে আগুনে জ্বাল দেন। দুই থেকে আড়ই ঘণ্টা ধরে আগুনে জ্বাল দিলেই তৈরি হয় নলেন গুড়।

অপর এক গাছি আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি গত ৮ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটার সঙ্গে যুক্ত। মূলত শীতকালের তিন মাস ধরে চলে এই কাজ। গত বছর শীতের মৌসুমে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার রুপি লাভ হয় তার।

এ বছর এখনও কাঁপিয়ে শীত পড়েনি। আগামী কিছু দিনের মধ্যে শীত বেশি করে পড়লে রসের পরিমাণও বাড়বে বলে আশা করছেন গাছিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬

এসসিএন/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।