ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

যে ‘ভুতুড়ে দ্বীপ’ থেকে জীবিত ফেরে না কেউ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
যে ‘ভুতুড়ে দ্বীপ’ থেকে জীবিত ফেরে না কেউ!

ইউরোপের দেশ ইতালিতে রয়েছে এমন এক রহস্যময় ভুতুড়ে দ্বীপ, যা নিয়ে প্রচলিত নানা লোমহর্ষক ঘটনা। রীতিমতো রূপকথার গল্প বোনা রয়েছে দ্বীপটি ঘিরে।

কারণ ওই দ্বীপ ঘিরে যত রহস্যময় কথা শোনা যায়, সেগুলো কতটা সত্যি তার কোনো প্রমাণ নেই।

দ্বীপের নামটাও ভয়ঙ্কর, ‘মৃত্যু দ্বীপ’। তবে এর আসল নাম ‘পোভেগ্লিয়া আইল্যান্ড’। এটি ইতালির শহর ভেনিস এবং লিডোর মধ্যে ভেনিস উপসাগরে অবস্থিত।  

বিশ্বাস করা হয় যে, এই দ্বীপে যে যায় সে আর জীবিত ফিরে আসে না। তাই এর নাম ‘মৃত্যু দ্বীপ’। দ্বীপটি এখন জনশূন্য। কেউই থাকে না সেখানে।

এমন নানা অলৌকিক কাহিনী আবর্তিত এ দ্বীপটি ঘিরে। যার পরতে পরতে রয়েছে রহস্য, শুনলে চমকে উঠবেন যে কেউ।  

এমন সব কাহিনীর মধ্যে অন্যতম, পোভেগ্লিয়া আইল্যান্ডের প্রকৃতি দেখতে এক সময় ছিল অসাধারণ। বহু বছর আগে ইতালিতে ভয়াবহ প্লেগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। মহামারি থেকে বাঁচতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটায় ইতালি সরকার। প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার প্লেগরোগীকে পোভেগ্লিয়া আইল্যান্ডে নিয়ে এসে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এরপর ‘ব্ল্যাক ফিভার’ নামে আরেকটি রোগ ছড়িয়ে পড়ে ইতালিতে। এই রোগেও প্রচুরসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারান। কথিত আছে সেই সব মৃতদেহও এই দ্বীপে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।

তারপর থেকে এই দ্বীপের আশেপাশের মানুষজন দ্বীপে ‘অদ্ভুত শব্দ’ শুনতে শুরু করেন। এখানকার লোকেরা দ্বীপে ‘আত্মার’ উপস্থিতি বুঝতে পারেন এবং লোকেরা এই দ্বীপে যাওয়া বন্ধ করে দেন।  

এক সময় ইতালীয় সরকার এই দ্বীপে একটি হাসপাতালও নির্মাণ করে এখানে মানুষের যাতায়াত বাড়াতে চেয়েছিল। তবে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা ‘আত্মা’র উপস্থিতি অনুভব করতে শুরু করেন।  

চিকিৎসকরা জানান, ‘মৃত্যু দ্বীপে’ তারা অনেক অস্বাভাবিক জিনিস দেখতে পান। এমনকি রোগীদের আত্মীয়স্বজনরাও বহুবার ‘আত্মা’র উপস্থিতির কথা জানান। এরপর সরকারকে দ্রুত হাসপাতাল বন্ধ করতে হয়।  

আরও একটি ঘটনা উল্লেখ্যযোগ্য, ১৯৬০ সালে সরকারের কাছ থেকে এই দ্বীপ কিনে নেন ইতালির এক ধনকুবের। শোনা যায়, এরপরই তার পরিবারে ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি ভেনিস সরকার দ্বীপটিকে পুনরায় জনবহুল করার চেষ্টা করছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও স্থাপন করা হয় সেখানে। কিন্তু রহস্যময় কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানই বেশিদিন টিকে থাকেনি দ্বীপটিতে। কোনো কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না সেখানে। ব্যাখ্যাতীত ঘটনা যে কারও বোঝার বাইরে।

এমনকি স্থানীয় জেলেরা দ্বীপকে এড়িয়ে চলেন, কাছেই ঘেঁষেন না। দ্বীপে খুব ভয়ঙ্কর কিছু ঘটেছিল যা অনেকের জীবন কেড়ে নিয়েছিল। সেই ঘটনাটি মানুষকে আতঙ্কিত করে চলেছে নিয়মিত।

সবমিলিয়ে রহস্যজনক কারণে আজও দ্বীপটি জনশূন্য, সেখানে যাওয়াও বন্ধ রয়েছে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।