ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

নির্বাহী আদেশে অবৈধরা ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবে

শিহাব্উদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
নির্বাহী আদেশে অবৈধরা ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবে গ্রেস মেং

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অর্থ বরাদ্দ বাতিল করা সত্বেও ওবামার নির্বাহী আদেশ কার্যকর হবে। ২০ মে ২০১৫ থেকে নির্বাহী আদেশের আওতাভুক্ত অবৈধ অভিবাসীরা ওয়ার্ক পারমিট ও স্যোশাল সিকিউরিটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।



নিউইয়র্কের কুইন্সের ফ্লাশিং-জ্যামাইকা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সিনেটে এ সংশোধনী বিলটি পাশের

সম্ভাবনা নেই এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা অবশ্যই বিলটিতে ভেটো দেবেন।  

রাজনৈতিক প্রতিশোধে ওবামার নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ বরাদ্দ বাতিল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে বাতিলের পর এ নিয়ে সংশয় দুর করতে কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি, নির্বাহী আদেশের আওতায় যোগ্যদের আবেদন করার জোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আবেদনকারীরা আবেদন  করলেই কংগ্রেসের কাছে তাদের বৈধতার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পাবে।

এছাড়া ওয়ার্ক পারমিট ও সোস্যাল সিকিউরিটি কার্ডের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং কংগ্রেসে নির্বাহী আদেশ বিরোধী সংশোধনী পাশে হাউজ স্পিকার জন বোয়েনারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, রিপাবলিকানদের এমন মানসিক দৈন্যতা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ সমর্থন করেনা। সংশোধনীর বিরুদ্ধে নিজে ভোট দিয়েছেন উল্লেখ করে গ্রেস মেং বলেন, রিপাবলিকানদের কোনো বিরোধীতাই কাজে আসবেনা। জণগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলনে ইমিগ্রেশন সংষ্কার বিল পাশ হবেই। শুধু নিউইয়র্কের কুইন্সেই কাগজপত্রহীন এশীয় অভিবাসীর সংখ্যা ৮০ হাজার। জানান কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং।

এদিকে, আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’য়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান নীনা দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী ২০ মে ২০১৫ থেকে গ্রীণকার্ডধারী ও নাগরিকদের বাবা-মা এবং ১৬ বছর বয়সের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অবৈধরা ওয়ার্ক পারমিট ও স্যোশাল সিকিউরিটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে যারা ২০১০ সালের ২ জানুয়ারির আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, ট্যাক্স দিচ্ছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই, কেবল তারাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।   

প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশের আওতায় আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিসহ ৫০ লাখ অভিবাসী সুন্দর ভবিষ্যতের নিশ্চতায় আশার আলো দেখছেন।

উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারাদেশ বন্ধ ও বৈধভাবে কাজের অনুমতিতে নির্বাহী আদেশ জারি করেন।

পরবর্তীকালে ক্যাপিটাল হিলে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নে  ১৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশ সম্পৃক্ত অর্থ বরাদ্দের বাজেট বাতিলে একটি সংশাধনী পাশ করে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত বাজেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ