ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

ঢাকা: নিউইয়র্কে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা।  

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩তম বর্ষ উদযাপন করা হয়।



কেক কাটার মধ্যদিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তার সহধর্মীনী মিসেস সেলিনা মোমেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি সুজানা মালকোরা।

অনুষ্ঠানে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এবারের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও বিশ্বের সকল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য ছিল ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন মাত্রার আনন্দের। এবার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন বাঙালি ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কোয়াডে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে গ্রিনেস বুক অব রেকর্ডে জায়গা করে নিচ্ছে। আরেকবার বিশ্ববিজয়ে বাঙালির ধারাবাহিকতায় আজ আমরা গর্বিত। আজ আমাদের শপথ হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনরুদ্ধার করা।

তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের জীবন ধারন মানোন্নয়ন, বৈষম্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রপঞ্চে অগ্রযাত্রার বিষয় তুলে ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্খা ছিল শোষন-বৈষম্য, ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনের বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি সুজানা মালকোরা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিংবা নারীর ক্ষমতায়ন অথবা দারিদ্র বিমোচন এমনকি বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রম সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের আশা-আকাঙ্খা পূরণ হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্জন দেশটির জন্মের লক্ষ্য পূরণের সাক্ষ্য বহন করছে। বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামী ঐতিহ্যই তাদের আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক কর্ম পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিশন টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ওয়ান অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সদস্য দেশের বিপুল সংখ্যক স্থায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের স্বাগত অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় মিশনের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন।

এতে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান।
 
দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে “বাংলাদেশ মাচিং টুওয়ার্ডস প্রগ্রেস” নামক একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ