ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাম্প্রতিক ঘটনার বিরূপ প্রভাব

থার্টিফার্স্ট নাইট: পর্যটক নেই কক্সবাজারে!

সুনীল বড়ুয়া,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
থার্টিফার্স্ট নাইট: পর্যটক নেই কক্সবাজারে!

কক্সবাজার: ইংরেজি নববর্ষ বরণে প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট সামনে রেখে পর্যটন শহর কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হতো। কিন্তু এবার আশানুরূপ পর্যটক নেই।

যে কারণে এ রকম একটি বিশেষ দিনেও কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসে অর্ধেকেরও বেশি কক্ষ ফাঁকা রয়েছে।

সম্প্রতি এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় এ রকম রিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট ও নববর্ষ উদযাপনে কম হলেও  লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এ বছর ভিন্ন চিত্র। যে কারণে তারা হতাশ।

কক্সবাজার কলাতলীর হোটেল কক্স-ভিউ রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার হোটেলের ৬০টি কক্ষের মধ্যে মাত্র ২০টি কক্ষ বুকিং ছিল। আজ তারা চলে যাবে। আজ বছরের শেষ দিনে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০টি কক্ষ বুকিং হয়েছে। অথচ অন্যান্য বছর এই সময়ে কোনো কক্ষই ফাঁকা থাকে না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। যার জন্য কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমন অবস্থা কোনো সময় হয়নি।

কলাতলীর হোটেল সি উত্তরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. ওসমান গনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চিত্র ভিন্ন। পুরো কক্সবাজারের কোনো হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউসে তেমন পর্যটক নেই।

 করোনাকালের দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে আমরা মনে করছিলাম, পর্যটনে কিছুটা সুদিন আসবে।  

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বাস্তবে কক্সবাজারে কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। সম্প্রতি যেটি ঘটেছে এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি খাবারের দাম বেশি নেওয়া এবং ধর্ষণ এ দুটি ঘটনায় কক্সবাজারের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে।

তবে কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনার কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনার যেন কোনোভাবেই আর পুণরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য টুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।

তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকতছাড়াও আশপাশের যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেখানেও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।  
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমান টিম কাজ করছে। তাদের সকলের লক্ষ্য পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।