ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘উপকারের ভাষা কয়ে বুঝোতি পারব না’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
‘উপকারের ভাষা কয়ে বুঝোতি পারব না’ 

বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রাজধানীর উত্তরায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) কালের কণ্ঠ শুভসংঘ শাখা গতকাল সোমবার কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গতকালের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আইইউবিএটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, ‘শুভসংঘ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা শুভ কাজে আইইউবিএটিকে সব সময় পাশে পাবে। ’
গতকাল কম্বল পেয়ে ৬০ বছরের বৃদ্ধা হোসনে আরা বলেন, ‘যারা আমাদের এই কম্বল দিল, আল্লাহ যেন তাদের অনেক ভালো রাখেন। ’

যশোরের বেনাপোল বন্দর থানায় শুভসংঘের বন্ধুরা গতকাল ২০০ জন শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। প্রেস ক্লাবের সামনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুল।
৭০ বছরের বৃদ্ধ জাহান আলী বেনাপোল বন্দর থানার কাগজপুকুর গ্রাম থেকে গতকাল এসেছিলেন কম্বল নিতে। কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘শীতে আমাক কাহিল করে দিছে। এই কম্বল পেয়ে উপকারের ভাষা কয়ে আমি বুঝোতি পারব না। ’

কম্বল পেয়ে নামাজ গ্রামের জয়নব বিবি (৫৫) বলেন, ‘গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই। যারা আমাগের (আমাদের) মতো গরিব মাইনসের (মানুষের) খোঁজ নিয়ে শীতের কাপড় (কম্বল) দেচ্ছে, তাগেরে (তাদের) আল্লাহ বাঁচায় (বাঁচিয়ে) রাখুক। ’

আলহাজ এনামুল হক মুকুল বলেন, ‘একটি করে কম্বল পেয়ে মানুষ যতটুকু উপকার পেল, তা অবশ্যই মহতী উদ্যোগ। আমরা চাই এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বেনাপোলের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপের সবাইকে। ’

এদিকে মাগুরা শহরের কারিগরপাড়ার সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মাঝিয়া বেগম গতকাল কম্বল পেয়ে বলেন, ‘জারের (শীত) জ্বালায় মরার জো হচ্ছেরে বাপ। তোমাগের এই কম্বল পায়ে এহন (এখন) একডু (একটু) বাঁচপানে। বসুন্ধরার বিটাগের (লোকদের) আল্লাহ বাঁচায়ে রাহুক (রাখুক)’।

মাগুরা শহরের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গতকাল কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মকবুল হোসেন মাকুল। এতে সভাপতিত্ব করেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের জেলা শাখার সভাপতি গবেষক পরেশ কান্তি সাহা।

গতকাল কম্বল নিতে এসে জেলা শহরের দোহারপাড়ের বাসিন্দা কালাম শেখ বলেন, এ বছর অনেক আগে থেকেই শীতের ব্যাপক প্রকোপ ছিল জেলায়। কিন্তু এলাকার কেউ এখনো কম্বল পায়নি। এটাই তাদের প্রথম কম্বল পাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।