ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে বাড়িতে ফেলে রেখে গেল ধর্ষকরা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে বাড়িতে ফেলে রেখে গেল ধর্ষকরা! গ্রেফতার রুবেল হোসেন ও নাজিম হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় গুড় কিনতে গিয়ে ২৫ ডিসেম্বর (শনিবার) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ফিল্মি স্টাইলে গাড়ি থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ধর্ষণের পর তার বাসায় ফেলে রেখে যায় ধর্ষকরা।

শনিবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) অভিযোগ পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার দুইজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুমিরদিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (৩২) ও আলী হোসেনের ছেলে নাজিম হোসেন (৩০)।

গৃহবধূর মামলার সূত্রে পুলিশ জানায়, গত ২৫ ডিসেম্বর খেজুরের গুড় কিনতে আব্দুল আলীমের বাড়ি যান ওই গৃহবধূ। রাত ৮টার দিকে পাখি ভ্যান (স্থানীয় যান) চড়ে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত তিনজন মোটরসাইকেল করে এসে গাড়ির গতিরোধ করে। এরপর ওই গৃহবধূকে তুলে নেয় তারা।

এই সময় ওই পাখিচালক বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে তারা গৃহবধূকে পৌরসভার বুজরুকগড়গড়ী মাদারতলা রোডের আম বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১২টায় ওই গৃহবধূকে তার বাড়িতে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। লোকলজ্জার ভয়ে দুইদিন চুপ থাকার পর গতকাল রাতে ওই তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ঘটনাটি ২৫ ডিসেম্বরের। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ওই গৃহবধূ এতদিন মুখ খুলেননি। সোমবার রাতে অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা অনেকটা ফিল্মি কায়দায় একটি চলন্ত পাখিভ্যান গতিরোধ করে গৃহবধূকে একটি মোটরসাইকেল করে তুলে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণ করে সেই গৃহবধূর বাড়িতে দিয়ে যায়। অভিযুক্ত পলাতক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।