ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অভয়ারণ্যে প্রাণি বিনাশের তৎপরতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
অভয়ারণ্যে প্রাণি বিনাশের তৎপরতা তারের ফাঁদ জব্দ। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দী, তখন নিরপদে ছিল চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের প্রাণীরা। অথচ এর উল্টো পিঠেই চলছিলো বন্য প্রাণি বিনাশের তৎপরতা।

যা বুঝতেই পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

অবশেষে গবেষণার কাজে আসা একজনের চোখে ধরা পড়ল দেশের অন্যতম এই অভয়ারণ্যে প্রাণি শিকারের চিত্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৬০টি তারের ফাঁদ জব্দ করেছে।

জানা গেছে, বন্যপ্রাণী গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মুনতাসির মাহমুদ সম্প্রতি গবেষণার কাজে সাতছড়ি বনে এসেছিলেন। সেখানে তিনি প্রাণি শিকারের ১০টি ফাঁদ ও ফাঁদে আটকা পড়ে মারা যাওয়া একটি বুনো শুকর দেখতে পান। তাৎক্ষণিক এসবের স্থির চিত্র ধারণ করে নিয়ে যান।

এ খবর জানাজানি হলে মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী ৪০ জন বনকর্মীকে নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রাণি শিকারের ৬২টি তারের তৈরি বিশেষ ধরণের ফাঁদ জব্দ করা হয়।

বন বিভাগ জানায়, মোটর সাইকেলের ব্রেক ও ক্লাসের তার দিয়ে তৈরি ফাঁদে প্রাণি শিকার পদ্ধতি অত্যন্ত ভয়াবহ। অভিযানে সাতছড়ির দু’টি বিটে ৬২টি ফাঁদ পাওয়া গেছে। এগুলো এখনই জব্দ করা না হলে অসংখ্য প্রাণি মারা যেতো।

অভিযানে বন কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরওয়ার, সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন, সিএমসির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন ও তেলমা বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনসহ সিপিজি এবং বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বন্যপ্রাণী গবেষক মুনতাসির আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, এর চেয়ে সুন্দর উদ্যোগ আর হতে পারে না। এক সঙ্গে এত ফাঁদ উদ্ধারের কারণে অনেকগুলো বন্যপ্রাণী বেঁচে গেল।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।