ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এই চুক্তি জিটুজি নয়, বাণিজ্যিক: পাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২১
এই চুক্তি জিটুজি নয়, বাণিজ্যিক: পাপন

ঢাকা: এই চুক্তি সরকারের সঙ্গে নয়, বাণিজ্যিক। আমরা এখনো এটি নিয়ে চিন্তিত না।

কারণ, আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তিতে পরিষ্কার বলা আছে, আমাদের দেশে অ্যাপ্রুভাল দেওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের (সেরাম) দিতে হবে। এটা একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি।

সোমাবর (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন একথা বলেন।

করোনার টিকার চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান বলেন, এখানে জিটুজির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মানে আমার জানা নেই। আপনারা যে জিটুজির কথা বলছেন, স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, উনি কোন ভ্যাকসিনের কথা বলছেন, আমি জানি না। এটা হতে পারে অন্য ভ্যাকসিন। গভর্নমেন্টের অন্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি থাকতেই পারে আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, এটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি। ব্যাংক গ্যারান্টি সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সরকারের এটা পৌঁছে দিতে হবে। এখন বাকি আছে রেজিস্ট্রেশন। দেশে রেজিস্ট্রেশন কবে পাবে জানি না। আমরা ডকুমেন্ট আগেই জমা দিয়েছি বৃহস্পতিবার। আজ আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। এখন অনুমোদন কখন দেবে তাদের ব্যাপার। এখন বাকি যেটা আছে সরকারের পক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, চুক্তি যেহেতু হয়ে গেছে এটাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কারণ নেই। এটা নিয়ে আজ সেরামের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি যে করোনার টিকা আসতে দেরি হতে পারে। সরকার যদি নিয়ম-কানুন মেনে দিয়ে দেয়, এক মাসের মধ্যে টিকা আসবে। এর নিয়ন্ত্রণের দিকটা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে করোনা টিকা দেওয়া যাবে উল্লেখ করে নাজমুল হাসান জানান, এলসি বা এগ্রিমেন্ট যা হয়েছে তা দিতেই হবে। ভারত সরকার যা বলেছে তা লজিক্যাল, ওদের দেশের মানুষকে না দিয়ে রপ্তানি করা যাবে না। কিন্তু ভারত সরকার যা অ্যাপ্রুভাল দিয়েছে ইমারজেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন ফর ডমেস্টিক মার্কেট। এটা সব দেশে তাই লেখে। আমার ধারণা, ইট কুড বি ওয়ান ইনটারপ্রিটেশন, এটা কেউ ভুল করছে। ওখানে কোথাও লেখা নেই যে এক্সপোর্ট করতে পারবে কি পারবে না।  

তিনি জানান, এরই মধ্যে করোনার টিকা পরিবহনের জন্য সাতটি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষায়িত কুল বাক্স আনা হবে। ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় গুদাম তৈরি করা হয়েছে।

নাজমুল হাসান বলেন, লজিক্যালি আমরা যে ব্যবসা করে আসছি সেভাবে বলছি। এটা বাণিজ্যিক চুক্তি। আমরা শুধু সরকারকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।