ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাজারে এলো টক-মিষ্টি স্বাদের ‘সিলেটি কমলা’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
বাজারে এলো টক-মিষ্টি স্বাদের ‘সিলেটি কমলা’ বাজারে এলো টক-মিষ্টি স্বাদের ‘সিলেটি কমলা’

মৌলভীবাজার: প্রায় এক বছর অপেক্ষার পর বাজারে এসেছে ‘সিলেটি কমলা’। টক-মিষ্টি স্বাদের মৌসুমী এ ফলের খোসা ছেঁড়ার পর অপূর্ব ঘ্রাণ সতেজ করে তোলে হৃদয়।

টাটকা ফলের ঘ্রাণে ভিড় করেন ফলপ্রেমী ক্রেতারা।

কারো কারো ক্ষেত্রে এ ঘ্রাণেই ফিরে আসে শৈশবের স্মৃতি। এ মৌসুমী ফলের নানা ওষুধিগুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ক্লাসিক ফল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সালাম বলেন, ‘এই শীতে সিলেটি কমলার চাহিদা খুব বেশি। আমার দোকানের অনেক ক্রেতাই এসময় এসে সিলেটি কমলার কথা জিজ্ঞেস করেন। অন্য কমলার চেয়ে এটার চাহিদা তুলনামূলক বেশি। এটা স্বাদের দিক থেকে টক-মিষ্টি। দারুণ লাগে খেতে। ’

তিনি বলেন, ‘বাজারে এ কমলা প্রায় জানুয়ারি থেকে মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকবে। তারপর আবার এক বছরের অপেক্ষা। আমার কাছে আরেক জাতের কমলা আছে, আমরা আঞ্চলিক ভাষায় চোষা কমলা বলি। এটার চেয়ে সিলেটি কমলার বেশি সুস্বাদু। প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ’

সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতের এ কমলা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে একে বলা হয় সিলেটি কমলা। সিলেটি কমলা মানে সিলেটের জমিতে চাষবাদ করা কমলা নয় বলে জানান এ বিক্রেতা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বাংলানিউজকে, ‘সিলেটি কমলা নামে অধিক পরিচিত এ কমলার ‘দার্জিলিং কমলা’। বাজারে এ কমলার চাহিদা বেশি এবং খেতেও সুস্বাদু। ’

তিনি বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করে দেখেছি যে, দার্জিলিংয়ের সেই কমলা আমাদের দেশেও চাষাবাদ করা সম্ভব। আমাদের ইচ্ছে সিলেটের এ কমলা যেন আমরা মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ করতে পারি। এ পর্যায়ে আমরা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নোয়াগাঁও, বিষামণি-সহ অন্য এলাকায় প্রায় ১৬টি বাগান করেছি। ’

কমলা কৃষকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। যেমন— একটি পরামর্শ হলো, কৃষকরা যেন কমলার ফলন আগাম বিক্রি না করে। দেখা যায়, কমলাগুলো পরিপূর্ণভাবে না পাকতেই আধাপাকা কমলাগুলো বিক্রি করে দেয়। এতে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই আমরা কমলা চাষিদের নানা ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ’

আবহাওয়া এবং মাটির ওপর নির্ভর করে সব ধরনের ফল। দার্জিলিং কমলা শীতকালীন ফল। এ কমলার বৈশিষ্ট্য হলো পাহাড়ি এলাকায় এটি উৎপন্ন হয়। মাটিতে পিএইচ এর মাত্রা কম অর্থাৎ সাড়ে ৫ বা ৬ থাকতে হবে। তাহলে লেবু জাতীয় ফলের ফলন ভালো হয়। ভারতের দার্জিলিং শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—  উপযোগী, পাহাড়ি এলাকা এবং মাটির চমৎকার গুণাগুণ। এজন্য তারা কমলা জাতীয় ফল উৎপাদনে অনেক এগিয়ে আছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
বিবিবি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।