ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

র‌্যাব-পিবিআই প্রধানসহ পদক পাচ্ছেন ১১৮ জন

প্রশান্ত মিত্র, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
র‌্যাব-পিবিআই প্রধানসহ পদক পাচ্ছেন ১১৮ জন

ঢাকা: ২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকের (পিপিএম) জন্য মনোনীত হয়েছেন ১১৮ জন। সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুরস্কারস্বরূপ চারটি ক্যাটাগরিতে মনোনীত পুলিশ সদস্যদের এ পদক দেওয়া হবে। 

নতুন বছরের শুরুতেই ৫ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ১১৮ জন সদস্য এসব পদক গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে তাদের হাতে পদক তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র জানায়, অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার একমাত্র কর্মকর্তা র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবার পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খ. মহিদ উদ্দিন, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা।

বছর জুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ ও সাহসকিতাপূর্ণ কাজের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেওয়া হয়। পদকের জন্য মনোনীত তালিকা অনুযায়ী ১১৮ জনের মধ্যে ১৪ জন বিপিএম-সাহসিকতা, ২৮ জন বিপিএম-সেবা, ২০ জন পিপিএম-সাহসিকতা ও ৫৬ জন পিপিএম-সেবা পদক পাচ্ছেন।

২০১৯ সালে ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। কথিত রয়েছে, এ রেকর্ড সংখ্যক পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। এ কারণেই একযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনাররা সবাই পদক পেয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালে এতো বিপুল সংখ্যক বিপিএম-পিপিএম পদক ঘিরে খোদ পুলিশের মধ্যেই ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার স্বাভাবিক বিবেচনাতেই পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যার ফলে এক বছরের ব্যবধানে পদকপ্রাপ্ত সদস্যের সংখ্যা কমে প্রায় এক তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। দু-একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া গত বছর যারা পদক পেয়েছেন এবার তাদেরকে তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, এবার পদক প্রাপ্তদের সংখ্যা একশ’র মধ্যে সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পুলিশ সদর দফতরের অনুরোধে এ সংখ্যা কিছু বাড়িয়ে ১১৮ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইজিপি মঈনুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করার কাজটি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, পদকের জন্য মনোনীতদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে শীঘ্রই গেজেট আকারে বিপিএম-পিপিএম-এ মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অপর এক কর্মকর্তা।

২০১৯ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৩৪৯ জনকে বিপিএম- পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে যথাক্রমে ২০১৮ সালে ১৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৩২, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৫ সালে ৮৬ জন কর্মকর্তা বিপিএম- পিপিএম পদক পেয়েছেন।

গত বছর বিপিএম সাহসকিতার জন্য এককালীন এক লাখ টাকা ও প্রতি মাসে বেতনের সঙ্গে দেড় হাজার টাকা, বিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

এছাড়া, পিপিএম সাহসিকতার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতিমাসে দেড় হাজার টাকা এবং পিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
পিএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।