ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন সরকার

দুর্নীতিমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ চান ভোটাররা

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৯
দুর্নীতিমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ চান ভোটাররা

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্বদাতা দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে, ঠিক তেমন আমেজ আছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও। নতুন সরকারের নবযাত্রায় তারা যেমন অভিনন্দিত করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে, তেমনি প্রকাশ করছেন নিজেদের কিছু প্রত্যাশা এবং দাবি-দাওয়ার কথাও। 

তারা বলছেন, জনগণ শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশে থাকতে চায়, নিরাপদে ঘুমোতে চায়। চায় নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে চলাফেরার নিশ্চয়তা।

তাদের বড় প্রত্যাশা যানজটমুক্ত চলাচল যেন নিশ্চিত করা হয়। আর দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা ঠিক রাখার পাশাপাশি খেয়াল করতে হবে, কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দীর্ঘসূত্রিতা বা অব্যবস্থাপনা যেন জনবিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। বিগত মেয়াদে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলো যেমন অনেকখানিই বিতর্ক এড়িয়ে থাকতে পেরেছে, এবারও যেন তেমনই পরিবেশ বজায় থাকে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা শ্রেণী-প্রেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন প্রত্যাশার কথা জানা যায়।

অনেকে ছিনতাই, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সরকারকে এবার গভীর মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যেন চাঁদাবাজি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও সরকারকে উপদেশ দেন অনেকে। শান্তিনগরের মসলা বিক্রেতা সবুজ সরকারকে জনগণের কথা শোনা ও বোঝার পরামর্শ দেন।  ছবি: বাংলানিউজকিশোরগঞ্জের রাকিব রাজধানীর খিলগাঁওয়ে থাকেন ১০ বছর ধরে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা বা দাবি-দাওয়া আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারের নানা উন্নয়নের সঙ্গে আমরাও জড়িত। এসব উন্নয়নে শ্রম বিনিয়োগ করি আমরা। অনেক সময় রাস্তা, ড্রেনেজের কাজ থেমে যায় চাঁদার কারণে। দিনের পর দিন বেকার থাকতে হয় আমাদের। কাজ না করলেতো আর টাকা আসে না। নতুন বছরে নতুন সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া থাকবে, সবরকম চাঁদাবাজকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাহলে সরকারের উন্নয়নে কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। ’

শান্তিনগর এলাকার মসলা বিক্রেতা সবুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ, সরকারের কাছ থেকে বড় কিছু চাই না। তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন জনগণের কথা শোনেন, তাদের বোঝার চেষ্টা করেন। যেহেতু নতুন সরকারের নতুন অনেক মন্ত্রী এসেছেন, আশা করছি তারা জনগণের সঙ্গে মিশতে পারবেন। জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে মূল্যায়ন করবেন। ’

পল্টন এলাকায় পাঁচ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে আসা হাফিজ বলেন, ‘আমরা চাই যানজট যেন শৃঙ্খলার মধ্যে আসে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের চেয়ে এই যানজট দূর করতে হবে আগে। তাহলে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে, পুরা শহরে শান্তি থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।