ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্থানীয় মুদ্রা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রা তৈরি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
স্থানীয় মুদ্রা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রা তৈরি  জাল রুপি তৈরি সিন্ডিকেটের আটক ২ সদস্য-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: জাল মুদ্রা তৈরির মাস্টারমাইন্ড ছগির মাস্টারের সঙ্গে ১৯৯৬ সাল থেকে সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন লিয়াকত আলী (৩৫)। এরপর গত ১০ বছর ধরে নিজেই জাল মুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

বাংলাদেশি জাল মুদ্রা তৈরি এবং বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরিতে ঝুঁকে পড়েন তিনি। প্রতি মাসে ৫০-৬০ লাখ রুপি তৈরি করে সরবরাহ করতেন লিয়াকত।

এতে তার মাসিক আয় হতো দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম, ১০ লাখ জাল রুপিসহ লিয়াকত ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলমকে (৪০) আটক করা হয়।  

জব্দ করা জাল রুপি-ছবি-বাংলানিউজএমরানুল হাসান বলেন, জাল মুদ্রা তৈরির মাস্টারমাইন্ড ছগির মাস্টার শেয়ারবাজার ধসের পর জাল মুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ছগিরের সহযোগী হিসেবে লিয়াকত এই চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। গত দশ বছর ধরে কেরানীগঞ্জে নিজের ভাড়া বাসাতেই জাল মুদ্রা তৈরি শুরু করেন লিয়াকত। তিনি নিজেই গড়ে তোলেন আরেকটি সিন্ডিকেট।

লিয়াকতের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাল মুদ্রা বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রা তৈরি করতেন তিনি। এরপর স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সরবরাহ করতেন।

প্রতি লাখ জাল ভারতীয় মুদ্রা ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। এভাবে প্রতি মাসে ৫০-৬০ লাখ রুপি সরবরাহ করার টার্গেট ছিল।  

এক প্রশ্নের জবাবে এমরানুল হাসান বলেন, ভারতীয় ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট তৈরি সহজ হওয়ায় লিয়াকত এসব নোট তৈরি করতেন।

লিয়াকত কাটআউট পদ্ধতিতে জাল রুপিগুলো সরবরাহ করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা চেইন। লিয়াকত কার কাছে জাল রুপিগুলো সরবরাহ করতেন সেটা অনেক ক্ষেত্রে তিনি নিজেই জানতেন না। তিনি ছিলেন জাল রুপির পাইকারি বিক্রেতা। আমরা কিছু নাম জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

লিয়াকত এর আগে কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন উল্লেখ করে র‌্যাব-৩ এর প্রধান বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।

**জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
পিএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।