ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমায় ২৮টি বিশেষ ট্রেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
বিশ্ব ইজতেমায় ২৮টি বিশেষ ট্রেন

ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমায় ২৮টি বিশেষ ট্রেন চলবে। মঙ্গলবার রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমন তথ্য জানান।



তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২৮ টি করে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে  ২ টি জুম্মা স্পেশাল, আখেরী মোনাজাতের আগের দুইদিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে ২টি করে ৪টি, আখেরী মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী রুটে ১ টি, আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী রুটে ৭টি, টঙ্গী-ঢাকা রুটে ৭টি, টঙ্গী-লাকসাম ১টি, টঙ্গী-আখাউড়া ২ টি এবং টঙ্গী-ময়মনসিংহ রুটে ৪টিসহ মোট ২১টি আখেরী মোনাজাত স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ৩৮টি মেইল এক্সপ্রেস কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টঙ্গী স্টেশনে বিরতি আছে। আখেরী মোনাজাতের আগের ৫ দিন ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর ট্রেন (২৯টি) ২ মিনিট করে থামবে টঙ্গী স্টেশনে। এছাড়া আখেরী মোনাজাতের দিন ৫৮ টি আন্তঃনগর ট্রেন ও আখেরী মোনাজাতের  পরদিন ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন ২ মিনিট করে থামবে এখানে।

এতে আরও জানানো হয়, ১০ ও ১৭ জানুয়ারি রোববার ৭২১/৭২২ মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, ১১ ও ১৮ জানুয়ারি সোমবার ৭০৭/৭০৮ তিস্তা এক্সপ্রেস  এবং ৮ ও ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার  ৭০১/৭০২ সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে।

ট্রেন বন্ধ রাখা: অপর দিকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সুবিধার্থে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার , ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার, ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার আখেরী মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে।

অতিরিক্ত কোচ সংযোজন : ইজতেমা উপলক্ষে সকল আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে ২টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা : ইজতেমা উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সকল স্টেশনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সুবিধার্থে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরমে একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এছাড়াও কর্তব্যরত অতিরিক্ত/সহকারী পুলিশ সুপার এবং একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর অস্থায়ী অফিস থাকবে। তাতে একটি রেলওয়ে ডিজিটাল টেলিফোন এবং জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের নিমিত্তে একটি জেনারেটর রাখা হবে। যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জিআরপি এর পক্ষ থেকে ২৫ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হবে। জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, কমলাপুর স্টেশন, টঙ্গী লেভেল ক্রসিং গেইট,বনমালা লেভেল ক্রসিং গেইট ও তুরাগ ব্রিজ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ইজতেমা শুরুর ৩ দিন আগে থেকে আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট এলাকা (নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ, আখাউড়া  ও টাঙ্গাইল পর্যন্ত) ট্র্যাক ও ব্রিজ পেট্রোলিং করা হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা: টঙ্গী স্টেশনে অস্থায়ী ডিসপ্নেসারী স্থাপন করা হবে।

বুকিং কাউন্টার : ঢাকা স্টেশনে ৭০ টি ও টঙ্গী স্টেশনে ৫০ টি কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে।

মুসল্লিদের সুবিধাদি: টঙ্গী স্টেশনে অস্থায়ী ১ টি নামাজঘর, ১টি বিশ্রামাগার, ৪০টি অযুখানা ও ২৫টি শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিখিল চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।