ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘দলিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় আনতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
‘দলিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় আনতে হবে’

ঢাকা: সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হলে দলিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।



তারা বলেন, দেশে দলিত সম্প্রদায়ের প্রায় এক কোটি মানুষ বাস করে। তাদের সমাজের মূলধারা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজের ব্যর্থতার কারণে দলিতদের সমতায়ন সম্ভব হয়নি।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, এখনো দলিতদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। যাদের রক্ষা করার কথা তারাই দলিতদের নির্যাতন করে চলেছে। এর পরিবর্তন হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, পাহাড়ি আদিবাসীদের প্রতি সরকার যে পরিমান আন্তরিক, সমতলের দলিতদের প্রতি ততোটা নয়। কারণ পাহাড়িরা সরকারকে বাধ্য করেছে। একইভাবে দলিত জনগোষ্ঠীরও তাদের অধিকার আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।

চলমান সমাজ ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে মন্তব্য করে মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, দলিতদের কিছু পেশা পরিবর্তন করতে হবে। তাদের নিজেদের চিনতে হবে। দেশের প্রায় এক কোটি দলিত জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, দলিত বলে তাদের সমাজের মূলধারা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সমাজের ব্যর্থতার কারণে আমরা তাদের সমতা নিশ্চিত করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, এতো বড় জনগোষ্ঠীকে পিছনে রেখে দেশ এগুতে পারে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। দলিতদেরও নিজেদের সমস্যা সমাধানে কণ্ঠ জোরালো করতে হবে।

বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভাপতি দিপালী রানী দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বেসরকারি সংস্থা শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস, দলিত ঋষি পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাস, হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস, দলিত নারী নেত্রী মুক্তা রানী দাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
টিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।