ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিপিএল

বিদেশি খেলোয়াড়দের অর্থ লেনদেন যাচাইয়ে টাস্কফোর্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
বিদেশি খেলোয়াড়দের অর্থ লেনদেন যাচাইয়ে টাস্কফোর্স

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর শেষ হওয়ার একমাস না পেরুতেই আসরে অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাওনা পরিশোধের তদন্তে টাস্কফোর্সও গঠন করা হচ্ছে।



জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধের বিষয় তদন্তে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থপাচার শনাক্তে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) থেকে চার সদস্যের টাস্কফোর্স কাজ শুরু করছে বলে জানা গেছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শাখার (সিআইসি) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি। টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক বিসিবির সহায়তায় তদন্ত করবেন। কোন তারিখে, কী পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে সে- সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই করবেন তারা। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশি মুদ্রা দেশের বাইরে পাঠানো ‘অর্থপাচার’ হিসেবে চিহ্নিত। সেক্ষেত্রে বিদেশি খেলোয়াড়দের পরিশোধ করা অর্থের অবস্থান ও লেনদেন বিশ্লেষণ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তাদের ৯ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধের জন্য অনুমতি নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে বিদেশি মুদ্রা দেশ থেকে নিয়ে গেলে তা অর্থপাচার হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, বিদেশি খেলোয়াড়, শিল্পীরা বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেন। অনেক সময় তারা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন- এমন প্রমাণ এনবিআর পেয়েছে। এবারের বিপিএলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে অবশ্যই এনবিআর হিসাবমতো রাজস্ব আদায়ে পদক্ষেপ নেবে।

জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিপিএল ক্রিকেটে ৬৫ জন বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নেন। তারকা খেলোয়াড় হিসেবে তারা উচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। এবারের বিপিএলে এসব খোলোয়াড় টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ছয়টি দলের সঙ্গে ৩০ হাজার থেকে ৭০ হাজার ডলারের চুক্তি করেন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্র ৯ জন বিদেশি খেলোয়াড়কে পারিশ্রমিক দিতে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

কোনো বিদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি মুদ্রায় পারিশ্রমিক দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিদেশিকে পারিশ্রমিক পরিশোধ করবে সে প্রতিষ্ঠান এনবিআরের তহবিলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) বা মূল্য সংযেজন কর (মূসক) জমা দিতে বাধ্য। বিপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এসব আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এবারের বিপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে বরিশাল বুলস তাদের ৯ বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা বাবদ মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধের অনুমোদনে আবেদন করেছিল। এ অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেয়। অন্যরা অনুমতি নেয়নি।

বাংলাদেশ সময়:০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।