ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

কাজ শেষ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
কাজ শেষ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

ঢাকা: নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সকলকে সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নির্মাণ তহবিলে অনুদান প্রদানকারীরা।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা ১০ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আহ্বান জানান।



অনুদান অনুষ্ঠানে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে উদ্যোক্তা সদস্যের পদ গ্রহণ করেন পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রিয় সকল মানুষের দেশের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকা দরকার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার জন্য যে মহৎ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন।

উবায়দুল মোকতাদির আরও বলেন, এ কাজটি সরকারি উদ্যোগে হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু ৮ জন ব্যক্তি সে কাজটা করেছে। এজন্য সমগ্র জাতি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এক লাখ টাকা দিয়ে আজীবন সদস্য পদ গ্রহণকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন বলেন, মনে হচ্ছে সারা জীবনের সবচেয়ে ভালো কাজটি আজ করলাম। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, কিন্তু করিনি। আমার ভাই যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তখন তাকে সহায়তা করেছি। মনে হচ্ছে, দেশের জন্য সামান্য কিছু করলাম।

তিনি দেশের ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং প্রোগ্রাম করে সকল শিক্ষার্থীরাও এ নির্মাণ কাজে যাতে অংশ নিতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাষ্টি মফিদুল হক বলেন, একাত্তরে মানুষ যার জন্য লড়াই করেছিলেন, তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। আমরা ২০১৬ সালে জাদুঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করবো, যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারেন। পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ নিতে পারে, তারও ব্যবস্থা করা হবে।

কবি স্থপতি রবিউল হোসাইন বলেন, সকল মানুষের অংশগ্রহণই আমাদের বড় শক্তি। এ শক্তিই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করেছিল।

প্রতীকী ইট কেনার জন্য অনুদান দিয়েছেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, মিলন কান্তি নাথ, মোস্তফা কামাল পাশা, নারগিস আক্তার, জিনায়দা ইরফাত, আমিনুল ইসলাম বেদু, আব্দুল ওয়াহাব ও সামাজিক সংগঠন আগামীর বাংলাদেশের পক্ষে মাইনুর মোর্শিদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিকার রবিউল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এমআইকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।