ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফিরে দেখা-২০১৫

যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: সুরমার বুকে আব্দুজ জহুর সেতু পাল্টে দিয়েছে ভাটিবাংলা খ্যাত সুনামগঞ্জের ৫টি উপজেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা। একই বছরে সিলেটে সুরমার ওপর নির্মিত কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধনে দুই তীরের মানুষের মাঝে তৈরি করেছে সেতুবন্ধন।



আর কুশিয়ারা নদীর ওপর সুনামপুর-চন্দরপুর সেতু সিলেটের দুই উপজেলা (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) ও মৌলভীবাজারের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

ফেলে আসা বছরে (২০১৫ সাল) বৃহত্তর যোগাযোগ খাতে সিলেটের বড় অর্জন এই তিন সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুগুলোর উদ্বোধন করেন।

একই বছরে ভিডিও কনফারেন্সে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট-কোম্পানিগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কের উন্নয়নেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে করে দেশের বৃহত্তম পাথরকোয়ারি ভোলাগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র বিছানাকান্দিতে যাতায়াত সহজ হবে। তেমনি উপকৃত হবেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।

প্রায় ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০২ দশমিক ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সেতু সাবেক সংসদ সদস্য সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুজ জহুরের নামে (আব্দুজ জহুর সেতু) নামকরণ করা হয়। ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট উদ্বোধন হয় সেতুটির। তবে ওই সেতুতে টোল আদায় করা নিয়ে হাওর অঞ্চলের মানুষ অনেকটা ক্ষুব্ধ।   

গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সেতুরও একই সঙ্গে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০০ সালের ১৯ জুন এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ । ২০০৪ সালে  তৎকালীন সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া আবারও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সেতুর খুঁটি, গার্ডারসহ সিকিভাগ কাজের পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। আবারো সরকারের পরিবর্তন ঘটে।

২০১৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বরে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ দুই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সেতুর অসমাপ্ত কাজে শেষ করতে উদ্যোগ নেন। দ্রুতগতিতে কাজ চলায় প্রায় দু’বছরে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুরমার ওপর কাজিরবাজার আরসিসি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। চারলেন বিশিষ্ট ৩শ’ ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ মিটার প্রস্থের এ সেতুটির প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পরে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২ কোটি টাকায়।

তবে নগরীর শেখঘাটে ঐতিহ্যবাহী জিতু মিয়ার বাড়ি রক্ষায় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে সেতুর নকশা বদলও করা হয়। এছাড়া সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয় আরও ২৫ মিটার। সে সময় ব্যয়ও বাড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ১৬২ কোটি টাকা। অবশ্য এজন্য সেতুর প্রস্থ ১৯ মিটার থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৪ মিটার করা হয়। তবে দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৩৯১ মিটারে উন্নীত করা হয়।

এছাড়া এক কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সিলেটের প্রথম ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন এবং নগরীর অভ্যন্তরে মীরের ময়দানে চারলেন সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এনইউ/এএসআর

** রাজশাহীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ঘড়ি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।