নীলফামারী: ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুরে রাতের ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করে আধা ঘণ্টা আগে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে দুটি প্লেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক একেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, কুয়াশার কারণে রাতের দুটি ফ্লাইট আধা ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে রাত ৮টার মধ্যে উড্ডয়ন করেছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লেন চলাচলে কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ২০০ মিটার। এ অবস্থায় রাতের দুটি ফ্লাইটের শিডিউল এগিয়ে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা যেন শরীরে হুল ফুটাচ্ছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রিকশাচালক আহাদ আলী (৬৩) বলেন, হামরা গরিব মানুষগুলো জারত মরি যাইছি। হামার পেকে এনা নজর দেন ব্যাহে।
তিনি জেলার সৈয়দপুর শহরের হাতিখানার বাসিন্দা। গোটা নীলফামারীর জনপদের মানুষ ও প্রাণীকুল ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে।
নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ছে। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সকালে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়। বিঘ্নিত হচ্ছে প্লেন চলাচলও।
অভাবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা গরম কাপড়ের জন্য লন্ডা বাজার খ্যাত সৈয়দপুরের রেললাইনের পাশে পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। জেলার অন্যান্য স্থানেও পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। বিশেষ করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
আরএ