ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ এখনো উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হয়নি: উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ এখনো উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হয়নি: উপদেষ্টা

ঢাকা: বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এখনো দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।  

তিনি বলেন, এ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে দেশের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার দায়িত্ব এখন আপনাদের হাতে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য জেলা পরিষদের নব যোগদানকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

নবগঠিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা পার্বত্যবাসীরা যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ আপনারা দেশবাসীকে দেখাবেন। মানুষের উপকারে আসে, সমাজের উপকারে আসে মানবহিতৈসী এমন সব কাজে আপনাদের নিবেদিত হতে হবে। বাংলাদেশের এক দশমাংশ মানুষকে মেইনস্ট্রিমে অন্তর্ভুক্ত করার সব কিছুই আপনাদের করতে হবে। সামাজিক কাজের পাশাপাশি আপনাদের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর কাজ করতে হবে। কফি, কাজু বাদাম চাষ, বাঁশ চাষ, ঝিড়ি, বন সংরক্ষণ করার পাশাপাশি নিজের এলাকায় কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন গড়ে তুলতে হবে। আপনাদের একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে। আপনাদের কাজের মাধ্যমে তার রিফ্লেকশান আমাদের কাছে ভেসে ওঠবে।

উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ২০২৪ সালের ৩৬ আগস্ট ছাত্র-জনতার সংগ্রামে যারা জড়িত থেকে নিহত হয়েছেন তাদের সবার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।  

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গঠিত হয়েছে। আমরা চাই পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ঐক্য। আমরা জাতীয় মূল স্রোতধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সমৃদ্ধি আনয়ন করবো। আমার বিশ্বাস আপনাদের সহযোগিতায় তা সম্ভব হবে।

উপদেষ্টা নবযোগদানকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ডকুমেন্টেশন, নিয়মানুবর্তিতা ও সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনা করার নিমিত্তে আপনাদের জন্য খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

নবযোগদানকৃত বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, উপজাতি শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা বক্তব্য দেন।  

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যাবলী পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বণিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।