ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে যুবককে ৩০ কোপ, দুই হাত-পা প্রায় বিচ্ছিন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে যুবককে ৩০ কোপ, দুই হাত-পা প্রায় বিচ্ছিন্ন আহত মো. আনিচুর মোল্যা

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. আনিচুর মোল্যা (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে তার দুটি হাত ও একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩০ বার কোপ দেওয়া হয়েছে।

তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্বসোনাপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।  

আহত আনিচুর মোল্যা পূর্বসোনাপুর গ্রামের সাহেব মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আনিচুরের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আতিক ফকিরের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। আনিচুর সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবুর সমর্থক আর আতিক ফকির বিএনপি নেতা প্রফেসর জয়নাল আবেদিনের সমর্থক। এর আগেও জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  

এরই জেরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনিচুর তার বাড়ির সামনে মাঠের জমিতে পানি দিতে গেলে প্রতিপক্ষের আতিক ফকির ও তার লোকজন তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরে রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে আনিচুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সটকে পড়েন।


সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, আনিচুরকে অন্তত ৩০টি কোপ দেওয়া হয়েছে। তার দুটি হাত ও একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাত-পায়ের হাড়গুলো কেটে ও ভেঙে যেভাবে চুরমার হয়েছে, তাতে তিনি বাঁচলেও হয়তো পঙ্গু হয়ে বাঁচতে হবে। এমন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। তবে অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করেছেন।  

হামলাকারীদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন বলেন, আমি কোর্টে আছি। শুনেছি এলাকায় মারামারি হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, আনিচুর নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- আতিক ফকির, হাসেম ফকির, আতিকুর মিয়া ও কাইয়ুম। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।